বৃহস্পতিবার | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

ক্ষুব্দ এডভোকেট মামুনের বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ

প্রকাশঃ ১৯ নভেম্বর, ২০২১ ০১:২১:২৩ | আপডেটঃ ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ০১:৩৫:১৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। এডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি। দীর্ঘদিন জেলা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তার বাবা প্রয়াত আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন রাঙামাটি জেলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। দলের জন্য মামুন এবং তার পরিবারের অনেক ত্যাগ রয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিএনপির কাউন্সিলের সাধারন সম্পাদক পদ প্রার্থী হন এডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, কিন্তু দলে সম্প্রীতি রক্ষার্থে সিনিয়রদের অনুরোধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যান তিনি। এর আগে কাপ্তাইয়ে কাউন্সিলারদের কাছে ভোট চেয়ে আসার পথে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন। অসুস্থ্য শরীর নিয়ে যান জেলা বিএনপির কাউন্সিলে।  
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কাউন্সিল নিজের কষ্ট আবেগ অনুভুতির কথা আজ শুক্রবার সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন, সেটি পাঠকদের জন্য তোলা ধরা হলো।



কিছু বাস্তবতা-----?
      যে সকল নেতৃত্বকে শ্রদ্বার আসনে রেখে নেতা মেনে সামনে এগিয়ে  যেতে চাই, তারাই নিজ স্বার্থে প্রথম আঘাতটা করে । বিগত ২০০৯ সালে নেতাদের বিশেষ অনুরোধে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন না করে সরে আসা,  ২০১৫ সালের কাউন্সিলে নেতাদের অনুরোধে সন্মেলনের বৈধতার স্বার্থে  হলের ভীতরে থাকা,  আর এবার ২০২১ সালে সমঝোতার জন্য হলের বাহিরে থাকা।  আগামীতে হয়ত হলের ছাঁদে.......?
আসলে আমাদের বয়স ৫০ এর কাছাকাছি হলেও  নেতাদের চোখে হয়ত আমরা এখনও টিন এজার। কত বয়স হলে সিনিয়র হবো ?
মনে রাখবেন আমাদের চেয়েও কম বয়সে ওবামা আমেরিকা শাসন করেছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে বাংলাদেশ শাসন করেছেন।
কাউন্সিলের কাজ করতে গিয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছি। পুরো কাউন্সিলের মাঠ আমার অনুকুলে থাকার পরও ছাড় দিতে  হলো আপনাদের অনুরোধে।   
কেন করলেন.......?
কার জন্য করালেন.....?
বাবা জীবদ্দশায় প্রায় সময় বলতেন এরা তোমাকে কিছুই দেবে না,  আমিও কষ্ট পেয়েছি জীবনে তুমিও পাবে। আজ সকালে মা ফোন করে সেটাই আবার মনে করিয়ে দিলেন।
সিনিয়রদের নিকট জানতে চাই আর কি করলে ও কত  যোগ্যতা অর্জন করলে আপনারা আমার প্রতি সদয় হবেন। আমার কাজের মুল্যায়ন করবেন?
আমি ও আমাদের পরিবার এই দলের জন্য তো কম করি নাই । বাবা তো দল করতে করতে জীবনটা শেষ করে দিলেন। কই রাঙামাটি জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দতো একটি বারও বাবার কবরটা জিয়ারত করলেন না। কষ্ট লাগে ।

কিন্তু বাবার হাত ধরেইতো একটা সময় পার্বত্য চট্রগ্রামে ( তিন পার্বত্য জেলা)বিএনপির উত্থান হয়েছে । সংগঠনের বিস্তার লাভ করেছে।
আসলে আমিতো অন্যদের মতো অভদ্র ও অশ্লীল ভাষার বাক্য চর্চা জানিনা কিংবা পরিবার থেকে শিখি নাই। নেতৃত্বকে অসম্মান করতে জানি না।  এটাই আমার দুর্বলতা। এটাই আমার অযোগ্যতা।।

মহান আল্লাহ আপনাদের হেদায়েত ও হেফাজত করুন।

পাহাড়ের রাজনীতি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions