রাঙামাটি
আদালতের এজলাসে ২ আইনজীবীর বাকবিতন্ডা, আইনজীবীর চেম্বারে হামলার অভিযোগ
প্রকাশঃ ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ০৮:১৭:৪৯
| আপডেটঃ ২১ নভেম্বর, ২০২৪ ০১:২১:৪৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাসে বাদী-বিবাদীর আইনজীবীর মধ্যকার যুক্তিতর্কে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। পরে আসামি পক্ষের আইনজীবীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মীদের দিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবীকে মারধর ও ব্যক্তিগত চেম্বারে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তছনছ করে দেওয়া হয়েছে চেম্বারের বিভিন্ন বই ও নত্রিপত্র। এছাড়া বাড়িতে গিয়েও হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাঙামাটির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা বেগম মুক্তার আদালতে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় আদালতের এজলাসে বসে বিচারক বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. রাশেদ ইকবাল ও বিবাদীপক্ষের (আসামি) আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মামুনুর রশিদের যুক্তিতর্ক শুনছিলেন। এসময় এক পর্যায়ে মামুন ও রাশেদের মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পরে দুজনই আদালতের এজলাস ছাড়েন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক জায়গা-জমি সংক্রান্ত একটি ফৌজদারি মামলার আমলী আদালতে শুনানি ছিল বুধবার। মামলার বাদী ছিলেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাশেদ ইকবালের পিতা। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মামুনুর রশিদ।
দুজনের মধ্যে অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (জিপি)। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর চলতি মাসের ৩ নভেম্বর জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ পান মামুন। অন্যদিকে অ্যাডভোকেট রাশেদ ইকবাল রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।
আইনজীবী মো. রাশেদ ইকবাল অভিযোগ করে বলেন, একটি পারিবারিক মামলায় আমি বাদীপক্ষের আইনজীবী হয়ে আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করার সময় মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ আমাকে আদালত ভবনের চারতলা থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবে বলেন। বলে, "তোমার আওয়ামী লীগের সময়ে অনেক কিছু করেছিস"। পরবর্তীতে আমি উনাকে বলি আপনি একজন আইনজীবী হিসেবে আদালতে এসব বলতে পারেন না।
রাশেদ আরও বলেন, একপর্যায়ে শুনানি শেষে আমি আমার চেম্বার আসলে মামুনুর রশিদ তার বিএনপির লোকজনকে পাঠিয়ে আমাকে এবং আমার চেম্বার হামলা করে। কোনো রকমে সেখান থেকে আমি অন্যত্র পালিয়ে যাই। পরে তারা আমার চম্পকনগরের বাড়িতে এসেও হামলার চেষ্টা চালায়। আমার অসুস্থ মাকে গালিগালাজ করে এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। দুইজন আইনজীবীর মধ্যে মামলা সংক্রান্ত যুক্তিতর্কের তিনি বিষয়টি রাজনৈতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
এদিকে, রাশেদ ইকবালের এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে মামুনুর রশিদের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।