খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে ‘দিদার-অপু’কে ঘিরেই’ নতুন মুখের পদধ্বনি !

জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে চারটি উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটাভোটির মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের ফলে পাল্টে গেছে হিসেব-নিকেশ। এরমধ্যে দীঘিনালা উপজেলা ছাড়া পানছড়ি ও মহালছড়ি উপজেলার কাউন্সিলে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতায় নেতৃত্বে এসেছে পরিবর্তন। মানিকছড়িতে তারুণ্যের চাপে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় কাউন্সিল বৈতরণী পার হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মো: জয়নাল আবেদীন ও সম্পাদক মো: মাঈন উদ্দিন। পানছড়ি’র উপজেলা কাউন্সিলে টাকার ছড়াছড়ি ছিল চোখে পড়ার মতো।
বেশ কয়েকজন প্রবীন নেতা এই প্রতিবেদককে বলেন, তরুণদের একটি অংশ বৈধ-অবেধ ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে আখের গোছানোর ধান্ধায় ব্যস্ত। রাজনৈতিক জ্ঞান-গরিমাতেও পিছিয়ে। ফলে দলটির ভবিষ্যত দেখভালের জন্য আদর্শিকভাবে দৃঢ় নেতৃত্বের সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে।
সেক্ষেত্রে সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, সাবেক সভাপতি নুরনবী চৌধুরী, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চাইথোঅং মারমা এবং অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমা’র প্রার্থী হওয়ার খবর জানা গেছে। কারণ, ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা কাউন্সিলে কংজরী চৌধুরী ও নুরনবী চৌধুরী ছাড়া বাকীরা সবাই প্রতিদ্বন্ধীতা করেছিলেন।
তিনি দাবি করেন, বর্তমান সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র নেতৃত্বে জেলায় আওয়ামীলীগ অনেক বেশি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।
তিনি আসন্ন জেলা সম্মেলনে বিশেষ কারো প্রতি কোন প্রকার অনুকম্পা বা বিরাগ না থাকার যুক্তিতে বলেন, দল ভালো নেতা পেলেই সাধারণ মানুষ এবং কর্মীরা ভালো থাকবেন। তাই ছাড় দেয়ার মানসিকতা সম্পন্ন নেতৃত্বকেই স্বাগত জানাতে চাই।