শুক্রবার | ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ইউপিডিএফের ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

প্রকাশঃ ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১০:৫৪:৪৩ | আপডেটঃ ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০১:২০:১১

সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।


কর্মসূচির মধ্যে ছিল দলীয় পতাকা উত্তোলন, অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, শিশু র‌্যালি, শিশু-কিশোরদের কুচকাওয়াজ, আলোচনা সভা, চা-চক্র, ইত্যাদি।


আজ ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার খাগড়াছড়ি সদর, পানছড়ি, দীঘিনালা, মহালছড়ি, গুইমারা, রামগড়, লক্ষীছড়ি এবং রাঙামাটি জেলার কুদুকছড়ি, কাউখালী, নান্যাচর, বাঘাইছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথকভাবে উক্ত কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়া ঢাকায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।


এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানটি ইউপিডিএফের কর্মসূচিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। খাগড়াছড়ি সদর, রামগড় ও কাউখালীসহ কয়েকটি স্থানে অগ্রণী শিশু কিশোর কেন্দ্র (এসিসি)-এর ব্যানারে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে প্রেরিত কর্মীবাহিনী ও জনগণের উদ্দেশ্যে বার্তা পড়ে শোনানো হয়।

কেন্দ্রীয় বার্তায় বলা হয়, “... আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, গণজোয়ারে খড়কুটোর মতো হাসিনা ও তার দল আওয়ামীলীগ ভেসে গেলেও তার প্রেত্মাতারা এখনও রয়েছে। ১৯-২০ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে  যৌথ হামলা, হত্যাকাণ্ড, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞ তারই সাক্ষ্য দেয়। ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ ঘটনায় পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। পরিস্থিতি ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে যেমন ছিল, বর্তমানেও তা থেকে ভিন্ন কিছু নয়। আমাদের নিরাপদবোধ করার অবস্থা নেই। অন্যায় ধরপাকড়, ওঁৎ পেতে গুপ্ত হত্যা, চাঁদাবাজি, ভূমি বেদখল, নারী নির্যাতন, সেনা মদদে চিহ্নিত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা...এসব অব্যাহত আছে।


“দেশে অন্যত্রও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন হামলার শিকার হয়েছেন, তারা অনিরাপদবোধ করছেন এমন কথাও উঠছে; শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা, নিয়ন্ত্রণহীন দ্রব্যমূল্য, বেতন ও বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলি বর্ষণ... এসব ঘটনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।


কর্মসূচি ছাড়াও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং, দেওয়াল লিখন, গ্রাফিতি অঙ্কন, দৃষ্টিগ্রাহ্য স্থানে ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, জনসেবামূলক কাজ যেমন সেতু-সাঁকো নির্মাণ, ধানকাটায় সহায়তা, রাস্তা সংস্কার ইত্যাদি কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

 

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions