বৃহস্পতিবার | ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি বিএনপির মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি, থানায় জিডি

প্রকাশঃ ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫ ০২:৪৬:২৪ | আপডেটঃ ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫ ১০:৫৪:৪৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি)। রাঙামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদে নিজেদের মধ্যে অন্তকোন্দল এবার ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। একে অন্যকে ফাঁসাতে  ফেসবুক নামে বেনামে বিভিন্ন ভূইফোড় প্রোটালে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে একে অন্যকে টেনে নামানোর প্রতিযোগীতা শুরু করেছে।

 

ঘটনার শুরু হয় চাঁদাবাজি অবৈধ দখল, সিগারেট বানিজ্য সহ নানা অনিয়মের লিখিত অভিযোগের  কারণে।

 

অভিযোগ এর ফলে  এরইমধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর পদপদবি ৩০ দিনের জন্য  স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাঙামাটি জেলা বিএনপি। 

 

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরে মুলধারার মিডিয়ায় গুরুত্বসহকারে এসব খবর  প্রকাশ পায়।  যদিও নিজের বিরুদ্ধে উঠা এসব অভিযোগ বরাবরই অশ্বিকার করেন বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ওমর আলী, তদন্তের পর প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হোক তিনিও চান। কিন্তু তদন্ত শেষ হওয়ার পূর্বেই শুরু হয় বাঘাইছড়ি পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ খাজা একাধিক ক্লিন ইমেজের নেতার ছবি ব্যাক্তিগত ভিডিও কার্টসাট করে  সোশ্যাল মিডিয়ায় মানহানি আপত্তিকর তথ্য ছড়িয়ে ব্যাক্তিগত দলীয় ইমেজ ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। আর এসব অপতৎপরতা রুখে দিতে এবার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ   করেছে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ খাজা। 

 

২২ জানুয়ারী বুধবার বাঘাইছড়ি থানায় উপস্থিত হয়ে তিনি এসবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হুমায়ুন কবীর। অভিযোগের ব্যাপারে ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন আমরা লিখিতভাবে অভিযোগ সাধারণ ডায়েরি হিসেবে গ্রহণ করেছি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

 

লিখিত অভিযোগে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ খাজা উল্লেখ করেন  আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী মোঃ রহমত উল্যাহ (৩৭), পিতা: মোঃ লিয়াকত আলী, মাতা: মোসাঃ ফরিদা বেগম, জাতীয় পরিচয় পত্র নং: ১৪৮৯৫৯২৯৮৮, ঠিকানা (স্থায়ী)-সাং- মধ্যম পাড়া, ওয়ার্ড নং-০১, বাঘাইছড়ি পৌরসভা।, গ্রাম-দেবার পাড়া, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড-বাঘাইছড়ি পৌরসভা ওয়ার্ড নং-০১, থানা-বাঘাইছড়ি, জেলা -রাঙামাটি। 

 

 

আমি মোঃ রহমত উল্লাহ খাজা (৩৭), পিতা- মোঃ লিয়াকত আলী, সাং- মধ্যম পাড়া, ০১ নং ওয়ার্ড, বাঘাইছড়ি পৌরসভা, থানা- বাঘাইছড়ি, জেলা -রাঙামাটি পার্বত্য জেলা থানায় হাজির হইয়া অজ্ঞাতনামা বিবাদীর বিরুদ্ধে এই মর্মে সাধারণ ডায়েরী করিতেছি যে, আমি বিগত ১০/১৫ দিন যাবত লোকমুখে শুনতে পাচ্ছি যে, আমার নামে মিথ্যা, বানোয়াট মনগড়া সংবাদ প্রচার করা হবে এবং আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করবে, আমি তা বিশ্বাস করি নাই। কিন্তু গত ১৮/০১/২৫ খ্রিঃ তারিখ চেতনার বাংলাদেশ নামের একটি পত্রিকা থেকে "বাঘাইছড়িতে ফের বিএনপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী দখলদারীর অভিযোগ" শিরোনাম দিয়ে আমার নাম সহ আমার দলের অনেক নেতার নাম এবং আমার রাজনৈতিক দল "বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল" এর সুনাম ক্ষুন্ন করে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন একটি নিউজ প্রচার করতে থাকে। পরবর্তীতে আমি উক্ত পত্রিকার পেইজটি মোবাইলে দেখলে উক্ত পত্রিকার সম্পাদকের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে মোবাইলে কল দিয়ে যোগাযোগ করে নিউজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দাবী করেন যে, উক্ত পত্রিকা আমার না, আমার হলে তারিখ ভুল থাকত না। উক্ত ব্যক্তি পরবর্তীতে তারিখ পরিবর্তন করে নিউজটি পূণরায় অনলাইনে দিলে, আমি তার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি কল কেটে দিয়ে নিউজটি ডিলেট করে দেন। কিন্তু উক্ত মোবাইল নাম্বার থেকে গত ২১/০১/২৫ খ্রিঃ তারিখ রাত্র ০১:৩৬ মিনিটে আমার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারের হোয়াট অ্যাপে ০১৯২৬-২৭৮-৭৯২ নাম্বার থেকে একটি লিংক পাঠান (https://www.facebook.com/share/v/17kuqdRvsr/), আমি উক্ত লিংক প্রবেশ করলে দেখা যায় যে, আমার আমার দলের অনেক নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া নিউজ প্রচার করে আমাদের সুনাম নষ্ট করিতেছে। প্রকৃত পক্ষে এইসব বিষয়ে আমি কিছু জানি না। উক্ত মিথ্যা ভূয়া নিউজ অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে শেয়ার করে আমার রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করার পায়তারা করিতেছে। উক্ত বিষয়ে বাঘাইছড়ি থানা এলাকার জনসাধারণ নেতাকর্মীদের মনে চাপা ক্ষোপ অরাজকতা বিরাজ করিতেছে। আমি আশংকা করিতেছি যে, উক্ত অজ্ঞাতনামা বিবাদী উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করার জন্য এহেন কাজ করিতেছে। ভবিষ্যতে অজ্ঞাতনামা বিবাদী আমার বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি করার জন্য ফেইসবুকসহ বিভিন্ন জায়গাতে আমার নামে গুজব ছবি, ভিডিও সহ অশ্লীল ভিডিও প্রচার করিতে পারে।

 

 

এমতাবস্থায়, উপরোক্ত বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য সাধারন ডাইরীভূক্ত করিয়া রাখা একান্ত প্রয়োজন।

 

 

অতএব, উপরোক্ত বিষয়টি আপনার থানায় সাধারন ডাইরীভুক্ত করিতে জনাবের মর্জি হয়।

 

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions