প্রকাশঃ ১৮ অগাস্ট, ২০২৪ ০৫:৪৫:৫৪
| আপডেটঃ ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৩:০৫:০৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি-বান্দরবান এ তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়ি ছাত্র-ছাত্রীদের দেয়ালে গ্রাফিতি অঙ্কনে বাধা প্রদান ও মুছে দেওয়ার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে গানে গানে হোক প্রতিবাদ এ শিরোনামে সাংস্কৃতিক কর্মীরা নাচে-গানে ও আবৃত্তিতে কর্মসূচি পালন করেছে। রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে রাঙামাটি শহরের জিমনেসিয়াম মাঠ প্রাঙ্গণে আদিবাসী সাংস্কৃতিক কর্মী এর ব্যানারে প্রতিবাদী গান,কৃবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন আদিবাসী সাংস্কৃতিক শিল্পীরা।
এ সময় শিল্পীদের পক্ষ থেকে সংগীত শিল্পী পার্কি চাকমা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে চার দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হচ্ছে,পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের সাংবিধানিকভাবে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান, রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট নাম পরিবর্তন করে আদিবাসী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট নামকরণ করা,সংগীত সংশ্লিষ্ট সংগীত পেশায় স্বীকৃতি নিশ্চিত করা ও আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষা সংরক্ষণ ও প্রশিক্ষণ উন্নত ব্যবস্থা করা।
গানে গানে হোক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে প্রথমে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যেমে প্রতিবাদ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নৃত্যশিল্পী,সংগীতশিল্পী,নাট্যকর্মী,কবি,বাদকশিল্পীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পেশাজীবি শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী গেংহুলির গানের মাধ্যেমে গ্রাফিতি মুছে দেওয়ার প্রতিবাদ জানানো হয়। এছাড়াও শিল্পীদের সাথে সংহতি জানাতে পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি সংগীতশিল্পীর প্রথম বেতারশিল্পী রনজিত দেওয়ান গানে গানে হোক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
সংগীত শিল্পী পার্কি চাকমা বলেন, ‘তিন পার্বত্য জেলায় গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। গ্রাফিতিগুলো মুছে দেওয়া হয়েছে। এসব কর্মকান্ডগুলোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এর সাথে গ্রাফিতিগুলো মুছে দেওয়ার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
শিক্ষার্থী নিলা চাকমা বলেন, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও বান্দরবানের লামাসহ তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়ি ছাত্র-ছাত্রীদের দেয়ালে অঙ্কন করা গ্রাফিতি গুলো মুছে দেয় নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা। বাংলাদেশের সংবিধানে গ্রাফিতি অঙ্কন করার ক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হয় তা কখনও শুনিনি। এসব কর্মকান্ডগুলোকে ধীক্কার জানায়।
পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি সংগীতশিল্পীর প্রথম বেতারশিল্পী রনজিত দেওয়ান বলেন,‘ পাহাড়ের ছাত্র-ছাত্রীরা গ্রাফিতি অঙ্কনে বাধা প্রদান ও মুছে দেওয়ার প্রতিবাদের অংশ হিসেবে রাঙামাটিতে আদিবাসী সাংস্কৃতিক কর্মীরা গানে গানে হোক প্রতিবাদ এমন একটা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। একজন শিল্পী হিসেবে সংহতি জানাতে আমিও অংশগ্রহণ করতে আসছি। তিনি আরো বলেন, আমাদের সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটকে প্রথমে উপজাতি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট পরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট নামকরণ করা হয়। আমাদের শিল্পী সমাজ সরকারের কাছে দাবি রাখি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট নাম পরিবর্তন করে আদিবাসী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট নাম করণ করা হোক।