রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: অনিক চাকমা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৩ লংগদুর শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার বান্দরবানে দূর্গা পূজা উদযাপন কমিটির সাথে সেনাবাহিনীর মতবিনিময় ১৬ বছর পর লংগদুতে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত পরিকল্পিত সংঘাত সৃষ্টিকারী পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবি পিসিসিপি'র
সিএইচটি টুডে ডট কম, আলীকদম(বান্দরবান)। বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও তরুন উদ্যোক্তা গরুর খামার করে স্বপ্ন বুনছেন মোঃ আবু ছালাম মেম্বার (৩৫) নামের এক খামারি।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দানুসর্দার পাড়ার বাসিন্দা ও আলীকদম উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মৃত্যু আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মোজাফ্ফর আহম্মেদ এর ছেলে বলে জানা যায়। তাঁর গরুর খামারটির নাম স্বদেশ ফ্যানেটিং ডেইরি ফার্ম। তিনি দীর্ঘদিন সময় ধরে একটি আর্দশ গরুর খামার করার সিদ্ধান্ত নেন। এখন সেই খামার থেকেই লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। জানা যায়, বিগত কয়েক মাস আগে থেকে নিজের প্রচেষ্টায় শখের বসে একটি উন্নত মানের গরুর খামার প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখেন। তার খামারে বর্তমানে ২০ টি ষাঁড় ও ৭ টি গাভীসহ মোট ২৭ টি গরু রয়েছে। ৫ টি গাভী দিনে প্রায় ৮০ লিটার দুধ দেয়।
খামারি উদ্যোক্তা মোঃ আবু ছালাম বলেন,আমি বর্তমানে সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড এর জনগণের প্রত্যেক ভোটে নির্বাচিত হয়ে মেম্বার হিসেবে জনগনের সেবা করছি। তাঁর পাশাপাশি বেকার সময় না কেটে নিজের প্রচেষ্টায় একটি উন্নত মানের গরুর খামার করার উদ্যোগ নেই। যার কারণ হচ্ছে অত্র এলাকায় অনেক বেকার যুবক/যুবতী অযথা সময় নষ্ট করছে তারা যেন আমাকে দেখে উপকৃত হয়ে তারা যেন উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে। আমার খামারে বর্তমানে মোট ২৭ টি গরু আছে। আমি প্রাকৃতিক উপায়ে গরু লালন পালন করে থাকি।
আগামী কোরবানির ঈদে আমি গরুগুলো বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো বলে আশা করছি। তার খামারে গিয়ে দেখা যায়, গো-খাদ্যের পর্যাপ্ত জোগান নিশ্চিত করার জন্য বর্তমানে তিনি ৩ বিঘা জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করেছেন। গরু দেখাশোনা করার জন্য সার্বক্ষণিক তিন (৩) জন লোক কাজ করছেন। ঘাসের পাঁশাপাশি খৈলসহ প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
খামারি উদ্যোক্তা আবু ছালাম বলেন, আমার মায়ের কিছু আর্থিক সহায়তায় ও আমার কাছে যে টাকা গুলো ছিল সে টাকা দিয়ে স্বপ্নের স্বদেশ ফ্যানেটিং ডেইরি ফার্ম গড়ে তুলেছি। আমি সরকারি কোন ধরনের ঋণ বা আর্থিক সহযোগিতা পাইনি,যদি সরকারি কোন ধরনের ঋণ সহায়তা অথবা প্রণোদনা পাই তাহলে আমার খামারটি আরও বড় করতে পারবো। তিনি আরও বলেন,আমার গরুর খামার দেখে এলাকার মানুষ খামার করতে উৎসাহ যোগাচ্ছেন। অনেক বেকার যুবক আমার কাছে আসেন কি করে খামার করতে হয় পরামর্শের জন্য। যদি খামারের জন্য সরকারি ভাবে প্রণোদনা ও ঋণ পাই তাহলে আমার গরুর ফার্ম টি বড় করতে পারবো বলে জানান।