পাহাড়ে এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে
প্রকাশঃ ২৮ নভেম্বর, ২০২২ ১০:২০:১১
| আপডেটঃ ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৮:৫৩:২৫
ষ্টাফ রিপোর্টার, সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। চলতি বছরের এসএসসি’র ফলাফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় পাসের হার কমেছে। গতবার এসএসসিতে বিষয় কমিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সুবাধে ফলাফল আশানুরূপ হলেও এবার সেটি ভেস্তে গিয়েছে। অন্যদিকে করোনাকালীন দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে এর প্রভাব এবারো পড়েছে। এসব কারণেই এবার পাহাড়ের তিন জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে এসএসসিতে পাসের হার কমলো।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের (মাউশি) ঘোষিত তিন জেলার ফলাফল বিশ্লেশণ করে দেখা গিয়েছে, রাঙামাটি জেলার এসএসসির পাসের হার ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ, যা গতবার ছিল ৮৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। খাগড়াছড়ি জেলার এসএসসির পাসের হার ৭৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ, গতবার ছিল ৮৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। বান্দরবান জেলার এসএসসির পাসের হার ৭৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ, গতবার ছিল ৯০ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তিন জেলায় এবার পাসের হার কমেছে।
এদিকে, রাঙামাটি জেলা শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের পাসের হার ৯৭ দশমিক ০৯ শতাংশ আর জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৫০ জন। রাঙ্গামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ, জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৩০ জন। রাঙ্গামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৯৫ দশমিক ১২ শতাংশ, জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৩৮ জন। রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৯২ দশমিক ৫৯ শতাংশ, জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ২ জন। শাহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ, জিপিএ ফাইভ কেউ পায়নি। শহীদ আব্দুল আলী একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮১ দশমিক ১৩ শতাংশ, জিপিএ ফাইভ কেউ পায়নি। মুজাদ্দেদ-ই আলফেসানি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ, জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ১ জন।
পাহাড়ের শিক্ষাবিদরা মনে করেন, কভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘসময় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তবে গত বছরের এসএসসির পরীক্ষার্থীদের চেয়ে এবারের পরীক্ষার্থীরা বেশি ভুক্তভোগী হয়েছে। দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের বাহিরের থাকায় ফলাফলে তার প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন তারা। জানতে চাইলে বান্দরবান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সরিৎ কুমার চাকমা জানান, বান্দরবানের ৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৫ হাজার ৪৮ জন শিক্ষার্থী এসএসসিতে অংশগ্রহণ করেছে। এরমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৪ হাজার ১৩৮ জন ও অকৃতকার্য হয়েছে ৯১০ জন। তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে। দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এর প্রভাব পড়েছে। সে কারণে চলতি বছরের ফলাফলে পাসের হার কমেছে।
রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, এবার পাসের হার মোটামুটি, বেশি ভালো হয়েছে বলা যাবে না। আশাকরি সামনের দিনে আরো ভালো করবে পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা।