আদালতের এজলাসে ২ আইনজীবীর বাকবিতন্ডা, আইনজীবীর চেম্বারে হামলার অভিযোগ সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ বিজয়ী মনিকাকে সেনাবাহিনীর সংবর্ধনা বান্দরবানে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী,নতুন আক্রান্ত আরো ৪জন সচেতনতা তৈরিতে রাঙামাটিতে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সপ্তাহের উদ্বোধন জেলা পরিষদে বঞ্চিত' ৪ উপজেলার প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি
সাকিব আলম মামুন, লংগদু (রাঙামাটি)। দিনরাত খেটে, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে লংগদুর কৃষি খাতে অবদান রাখতে মিশ্র ফলজ বাগান গড়ে তুলেছে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার আলী আহমেদ নামের এক যুবক।
আলী আহমেদ উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের মহাজনপাড়া এলাকার স্থানীয় কৃষক। পাশাপাশি তিনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
তিনি জানান, ব্যবসার পাশাপাশি শখের বসে প্রায় তিন একর জায়গা জুড়ে মিশ্র ফলের বাগান তৈরী করেছি। যার মধ্যে রয়েছে পেঁপে এক হাজার, কাজু বাদাম ২৫০ এবং মালটা ১৫০ টি চারা গাছ। পেঁপে বাগানে ফল আসা শুরু করেছে। তিনি আশা করছেন আগামী বছর মালটা ও কাজু বাদামও ফল দিবে।
বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পেঁপে চাষে সফলতার মূখ দেখেছে অনেক কৃষক। পরস্পরের সহযোগীতায় বিভিন্ন এলাকায় প্রায় শতাধিক পেঁপে চাষী রয়েছে। তন্মধ্যে আলী আহমেদ অন্যতম। তিনিও স্বপ্ন দেখছেন মিশ্র ফলজ বাগানে সে সফলতা পাবেন।
এ মিশ্র বাগানে সবকিছু ঠিক থাকলেও, সমস্যা হলো বাগানে পানি সেচ দেওয়া। শুকনো মৌসুমে পুরো এলাকা জুড়ে পানি থাকে না। কাপ্তাই হ্রদ শুকিয়ে যায়, দেখা দেয় পানি সংকট। ফলে প্রায় ৮০০শ ফুট দূর থেকে পানি তুলতে হচ্ছে। আলীর দাবী কৃষি অফিস থেকে একটি ডিপ টিউবওয়েল (সোলার পাম্প)। তাহলে বাগানে নিয়মিত সেচ ব্যবস্থার সুবিধা হবে এবং ফল বাজারজাত করে সাধারন মানুষের চাহিদা পূরণ করা যাবে।
লংগদু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা সরকারী ভাবে কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে সার, বীজ, কীটনাশক দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি। সরেজমিনে তার মিশ্র বাগানটিতে পরিদর্শনে এসে বিভিন্ন সমস্যা দেখেছি এবং প্রয়োজনীয় বিষয়ে কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা করবো।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে বাগান গুলো পরিদর্শন করেছি, ভালো মন্দ দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা আলী আহমেদ এর মিশ্র ফলজ বাগানটি সরজমিনে দেখেছি। বাগানটি খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তুলেছে, তবে তার পানি নিষ্কাশনের সমস্যাটা বেশি। এবিষয়ে কৃষি অফিস যতটুকু সম্ভব পাশে থাকবে।