তিন পার্বত্য জেলায় কর্মরত মাঠ সংগঠক ও পাড়া কর্মীদের সংবাদ সন্মেলন
পুরাতন মাঠ সংগঠক ও পাড়াকর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে
প্রকাশঃ ০১ অগাস্ট, ২০১৮ ০৭:৪১:৩১
| আপডেটঃ ২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:২৬:১৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। ইউনিসেফের অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের তিন পার্বত্য জেলায় কর্মরত মাঠ সংগঠক ও পাড়া কর্মীদের নতুন প্রজেক্টে চাকুরীতে বহাল রাখার দাবীতে আজ বুধবার রাঙামাটিতে সংবাদ সন্মেলন করেছে মাঠ ও পাড়া কর্মীরা।
রাঙামাটি সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে লিখিত পাঠ করেন দীঘিনালা উপজেলার সিনিয়র মাঠ কর্মী প্রীতি লতা চাকমা। এসময় সিনিয়র পাড়াকর্মী চন্দনা চাকমা, সূজিতা চাকমা,মিনকি চাকমাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়, বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা দান প্রকল্প নাম দিয়ে নতুন করে মাঠ সংগঠক ও পাড়াকর্মী নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। যা বয়স সীমার অজুহাতে বর্তমানে কর্মরতদের চাকুরী থেকে বাদ দিয়ে নতুন মাঠ সংগঠক ও পাড়াকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং পুরাতন মাঠ কর্মীদের চাকুরীচ্যুত করা হচ্ছে।
সংবাদ সন্মেলন থেকে বর্তমানে কর্মরত হাজার হাজার মাঠ সংগঠক ও পাড়াকর্মীদের চাকুরী বহাল রাখার দাবী জানানো হয়। অন্যথায় তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক পন্থায় যে কোন উপায়ে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
তবে বিষয়টি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প পরিচালক ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বলেছেন, কে বা কারা এসব মাঠ সংগঠক ও পাড়াকর্মীদের ভুল বুঝিয়েছে। সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্প শেষ হওয়ার পর নতুন করে সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের আদলে “পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান” প্রকল্পটি শুরু করা হয়।
প্রকল্পে নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও যারা পুরাতন মাঠ সংগঠক এবং পাড়াকর্মী রয়েছে তাদেরকেই নিয়োগ করা হবে এক্ষেত্রে বয়স বিবেচনা করা হবে না। কেউ স্বেচ্ছায় চলে গেলে সেটি ভিন্ন কথা। যেহেতু প্রকল্পটি নতুন পিপিআর অনুসারে আমাদের নিয়োগ বিধিমালা অনুসরন করে নিয়োগ দিতে হচ্ছে। পুরাতনরা নতুন করে আবেদন করবেন, নতুন যারা আবেদন করবে তাদের ক্ষেত্রে বয়স এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসরন করা হবে।
প্রসঙ্গত: পার্বত্য অঞ্চলের মহিলা ও শিশুদের মৃত্যুহার রোধ, পুষ্টিমান উন্নয়ন, সুপেয় পানি সরবরাহ, শিশু শিক্ষা, প্রাক-শৈশব উন্নয়ন, শিশু সুরক্ষা, স্বাস্থ্য সম্মত পয়ঃব্যবস্থা উন্নয়ন ও কমিউনিটি সক্ষমতা উন্নয়ন এবং আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার হার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহায়তায় সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটি ১৯৮৫-১৯৯৫ মেয়াদে প্রথম পর্যায়, ১৯৯৬-২০১১ মেয়াদে দ্বিতীয় পর্যায় এবং ২০১২-২০১৭ সনের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৩য় পর্যায় বাস্তবায়ন করা হয়। প্রকল্পটি শেষ ওই প্রকল্পের আদলে নতুর করে “পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান” প্রকল্পটি শুরু করা হয়। প্রকল্পের লোকবল নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহবান করে। এর মধ্যে রাঙামাটিতে ১০টি উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নের ১৪৯২টি পাড়া কেন্দ্রের জন্য ১৪৯২জন পাড়াকর্মী মাঠ সংগঠক ১৪৯জন, খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নে ১৪৩৩টি পাড়াকেন্দ্রের জন্য পাড়াকর্মী ১৪৩৩জন, মাঠ সংগঠক ১৪৩জন এবং বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়নের ১০৭৫টি পাড়া কেন্দ্রের জন্য পাড়াকর্মী ১০৭৫জন এবং মাঠ সংগঠক পদে ১০৮জন রয়েছে।