দীঘিনালায় করোনা পজিটিভ রোগীর দাবির মুখে নতুন করে নমুনা সংগ্রহ
প্রকাশঃ ৩০ এপ্রিল, ২০২০ ১২:২৪:১৩
| আপডেটঃ ০৭ নভেম্বর, ২০২৪ ০৪:১৪:২৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা এক পোশাক কর্মীর শরীরে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহের নানা ডালপালা ছড়িয়েছে পুরো এলাকায়। বিশেষ করে ওই পোশাককর্মীর নিজের দেয়া ভিডিও লাইভ ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এই বিভ্রান্তি আরো জোরদার হয়ে উঠে। ওই ভিডিওতে করোনায় আক্রান্ত নন বলে দাবী করেছেন পোশাক শ্রমিক। শুধু তাই নয়, তাঁকে বলতে শোনা গেছে, করোনায় সংক্রমিত হওয়ার মত কোনো উপসর্গ কিংবা লক্ষণ তার শরীরে নেই। তাই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ওই পোশাক শ্রমিকের সাথে থাকা আরো সাথে থাকা ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি উপজেলার কামাকোছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়টিকে লকডাউন করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল থেকেই নারায়নগঞ্জ ফেরত পোষাক শ্রমিককে উপজেলার কামাকোছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানোর পর গত ২৯ এপ্রিল তার শরীরে করোনা ধরা পড়ে। তবে করোনা পজিটিভ রিপোর্টটি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না আক্রান্তের স্বজনরাও। মুঠোফোনে পোশাক শ্রমিক জানান, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মত কোনো প্রকার উপস্বর্গ কিংবা লক্ষণ তাঁর শরীরে নেই। শারীরীক দিক থেকে পরিপূর্ণভাবে সুস্থ আছেন। প্রয়োজনে একাধিকবার নমুনা পরীক্ষারও দাবী জানান তিনি।
এদিকে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থানরত আরেক পোশাক শ্রমিক রিকেল চাকমা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে তাঁর সহকর্মীর শরীরে করোনা প্রজেটিপ রিপোর্টকে ভিত্তিহীন ও গুজব বলে দাবী করেন। তাই এ বিষয়য়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সাধারন লোকজনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ তনয় তালুকদার জানান, পোশাক শ্রমিকের শরীরে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট নিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করার জন্য নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিনে সাথে থাকা আরও ১০ জনসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনজন স্বাস্থ্যকর্মীরও নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্যাহ পোশাক শ্রমিকের শরীরে করোনা পজিটিভ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার জন্য নতুন করে নমুনা সংগ্রহের সত্যতা স্বীকার করে জানান, হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে কামাকোছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে যে তিন পোষাক কর্মী বাড়িতে চলে গিয়েছিল তাদেরকে পুরনায় হোম কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে আসা হয়েছে। তাছাড়াও তাদের বাড়িঘরসহ বিদ্যালয়টি লকডাউন করা হয়েছে। বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬২ জন পোষাক কর্মী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে উপজেলার ৪৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৮৭৭ জন পোষাক কর্মী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে এবং ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে ২’শ ৩১ জন পোষাক কর্মী বাড়ি ফিরেছেন বলে জানা গেছে।