প্রকাশঃ ২৭ নভেম্বর, ২০১৯ ১২:৫১:৪৬
| আপডেটঃ ২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:২৯:০৬
নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা একজন সফল কর্মকর্তা, যিনি একধারে পুলিশের কর্মকর্তা, সরকারের সচিব ও জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বশীল জায়গায় সচিব পদ মর্যাদায় বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। পাহাড়ে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের যে ভুমিকা থাকে, সরকারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে সেই ভুমিকা রেখে রাজনীতির বাইরে গিয়ে সরকারি উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নসহ গুরুত্বপুর্ণ সিদ্বান্ত নিতে ভুমিকা রাখেন।
নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার ডাক নাম নান্টু, তিনি বর্তমান পুরাতন রাঙামাটি শহরে ১৯৫৬ সনের ১লা মার্চ জন্ম গ্রহণ করেন, যেটি কাপ্তাই বাঁধের কারণে পানির নীচে ডুবে যায়। নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার বাবার নাম বরেন্দ্র কুমার ত্রিপুরা ও মাতার নাম নন্দা ত্রিপুরা। নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা ১৯৭০ সনে শাহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৭০-৭২ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৭৩-৭৫ সনে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ১৯৭৬ সনে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। এছাড়া
তিনি মিরপুর ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ থেকে ২০০৫ সনে
b National
Defence Course এবং স্টকহোম ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ থেকে ২০০৬ সনে
Higher Course in NDC কোর্স সম্পন্ন করেন।
নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা পশ্চিমা গোলার্ধে ১৯৯৪ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন “অপারেশন আপহোল্ড ডেমোক্রেসি ইন হাইতি” -তে বাংলাদেশের প্রথম মিশন ডেপুটি কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হিসেবে চাকুরিকালীন তিনি অসাধারণ কর্মদক্ষতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের "কমান্ডারস অ্যাওয়ার্ড ফর পাবলিক সার্ভিস” পদক লাভ করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে 'জাতিসংঘ মিশন হাইতি' (ইউএনএমএইচএ) -এর সাথেও কাজ করেন এবং জাতিসংঘ পদক লাভ করেন।
নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে কমান্ডিং, কর্মী ও নির্দেশনামূলক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দু’বার বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশ কো-অপারেটিভ সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ পুলিশের মুখপাত্র 'ডিটেকটিভ ' এর প্রধান্ সম্পাদক ছিলেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তিনি ২০০৭ সালের মার্চ মাসে জাতীয় প্রকল্প পরিচালক, পুলিশ সংস্কার প্রোগ্রাম (পিআরপি) হিসাবে নিযুক্ত হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান না করা পর্যন্ত উক্ত পদে ২০১০ সালের ০৬ অক্টোবর পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৬ জুন, ২০১১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ডিসেম্বর ২০১৩ থেকে ফেব্রুয়ারী ২০১৮ পর্যন্ত তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড (সিএইচটিডিবি) -এর চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০১৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট (আইসিআইএমডিডি), এর চেয়ারম্যান, গর্ভনর বোর্ড নির্বাচিত হন। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট, একটি আন্তঃসরকার আঞ্চলিক সংগঠন যা ১৯৮৩ সালে ৮ (আট) আঞ্চলিক সদস্য যথা - আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, ভুটান, চীন, মায়ানমার এবং বাংলাদেশ -কে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সচিবের পদমর্যাদায় তিন বছরের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করে। তিনি বর্তমানে ১৯ মার্চ ২০১৮ তারিখে উক্ত পদে যোগ দেন।
নব বিক্রম ত্রিপুরা সেমিনার, গোল টেবিল সভা, সম্মেলন, অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময় ইত্যাদি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে লিখে থাকেন, তার ক্রিয়েটিভ অনেক গুণ রয়েছে। তিনি বিশ্বে ছয়টি মহাদেশের অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন।
নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বিবাহিত এবং দুই পুত্রের জনক। পাহাড়ের জনপ্রিয় অনলাইন সিএইচটি টুডে ডট কম এর ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক সাক্ষাতকারে তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি জানান, তার রাজনীতি করার কোন অভিপ্রায় বা ইচ্ছা নেই, উন্নত-সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিনির্মানই তার লক্ষ্য, স্বপ্ন ও অভীষ্ট। সাক্ষাতকারটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো
প্রশ্ন : কেমন আছেন?
উত্তর : ভালো আছি, তবে দেশ-বিদেশের নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা, সংঘর্ষ-সংঘাত, হানাহানি-রক্তপাত অনেক সময় মনকে ভারাক্রান্ত করে।
প্রশ্ন: চাকরি জীবনে পুলিশ বিভাগে কাজ করেছেন বেশীর ভাগ সময়, এখন আবার সিভিল প্রশাসনে কাজ করছেন কেমন লাগছে? তুলনামুলক কোনটা কিভাবে উপভোগ করছেন?
উত্তর : পুলিশ বিভাগে কাজ করেছি ২৬ বছর। ২০১০ সাল থেকে পুলিশ বিভাগের বাইরে সিভিল সার্ভিসে দায়িত্ব পালন করছি, প্রথমে মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে, বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে। অবশ্য যখন সচিব ছিলাম তখনও চার বছর অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। উভয় দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালনের চেষ্টা করেছি। এমএ পাশ করার পর ১৯৭৯ সনে সহকারী পরিচালক ও পরবর্তীতে উপ-পরিচালক হিসেবে সিভিল সার্ভিসে যোগদানের পূর্ব পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে চাকুরী করেছি। ঐ হিসেবে সরকারী চাকুরীতে আমার কর্মকাল বর্তমানে ৪০ বছর।
প্রশ্ন: মন্ত্রনালয়ের সচিব ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর আপনি পার্বত্য চট্টগ্রামে কি ধরণের কাজ করেছেন? একটু বলবেন কি?
উত্তর : অনেক কাজ করেছি, উল্লেখ যোগ্য কাজের তালিকা দীর্ঘ। প্রথমতঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির অনেক গুলি ধারার বাস্তবায়ন যেমন- উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা, স্থানীয় পর্যটন, জুম চাষ ইত্যাদি তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তর, অন্তবর্তীকালীন জেলা পরিষদের আকার ৫ থেকে ১৫ তে উন্নীতকরণ, অধ্যাদেশের পরিবর্তে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইন-২০১৪ প্রনয়ন, ঢাকায় পার্বত্যবাসীর ঠিকানা ‘শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স’ এর বাস্তবায়ন, বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে ৪ বার জাতিসংঘের
UNPFII এর অধিবেশনে অংশগ্রহণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাজেট ২১০ কোটি টাকা হতে ১২০০ কোটি টাকায় উন্নীত করণ, সার্কেল চীফ, হেডম্যান ও কারবারীদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি, উন্নয়ন বোর্ডের শিক্ষা বৃত্তি ২৫ লক্ষ টাকা থেকে ২ কোটি টাকায় বৃদ্ধি, বাংলাদেশে প্রথমবারের মত
International
Mountain Day উদযাপন যা প্রতিবছর ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী সারা বিশ্বে পালিত হয়ে থাকে, ঢাকায় পার্বত্য মেলার প্রচলন; জাপান, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভুটান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দল প্রেরণ ইত্যাদি।
প্রশ্ন: সমৃদ্ধ শালী পার্বত্য চট্টগ্রাম বিনির্মাণে আপনার সময়কার পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কতখানি ভুমিকা রাখছে?
উত্তরঃ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েই আমি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের জন্য একটি
VISION যুক্ত করেছি- “উন্নত-সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম”। আমার দায়িত্ব নেয়ার আগে ছোট-খাট স্কিম ছাড়া বোর্ডের প্রকল্পের সংখ্যা ছিল মাত্র ০১টি-‘সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্প’। বর্তমানে ১৭টি প্রকল্প চলমান আছে এবং অচিরেই আরো কয়েকটি প্রকল্প যুক্ত হবে।
প্রশ্ন: বোর্ডের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে আপনি কতুটুকু সন্তুষ্ট?
উত্তরঃ জনবলের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ১টি থেকে ১৭টি প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং বোর্ডের বাজেট বহু গুন বৃদ্ধির জন্য যৌক্তিক ভাবে আমি সন্তষ্ট হ’তেই পারি। তবে আমি সব সময় মনে করি কর্মক্ষেত্রে আত্ম-সন্তুষ্টির অবকাশ নেই।
প্রশ্ন: পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে আপনার বিশেষ পরিকল্পনা আছে কিনা থাকলে সেটি কি?
উত্তরঃ উন্নত-সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিনির্মানই আমার লক্ষ্য, স্বপ্ন ও অভীষ্ট।
প্রশ্ন: ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়া স্থানীয়দের উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় করার কি কি পরিকল্পনা আছে?
উত্তরঃ বোর্ডের চলমান ১৭টি প্রকল্পের কোনটিই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত নয়। আমাদের সবগুলি প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয় জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন। তবে জনগনের আবেদন নিবেদনের কারণে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্যও আমাদের বরাদ্দ দিতে হয়।
প্রশ্ন: কেমন উপভোগ করছেন বোর্ড চেয়ারম্যানের দায়িত্ব?
উত্তরঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-প্রসূত প্রতিষ্ঠান। চেয়ারম্যান পদটি দায়িত্ব পালনের, উপভোগের নয়।
প্রশ্ন: প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির তফাৎ কেমন ?
উত্তরঃ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মাঝে ব্যবধান থাকবেই। তবে সেটি বেশী নয়।
প্রশ্ন: বোর্ড চেয়ারম্যান হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের জন্য আপনার কোন বার্তা আছে কিনা?
উত্তর : বার্তা দেওয়ার মত কোন ব্যক্তিত্ব এখনো হ’তে পারিনি। তবে সব ক্ষেত্রে শান্তি, সম্প্রীতি ও সহমর্মিতা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানাতে পারি। কারণ এগুলি যে কোন উন্নয়নের পূর্বশর্ত। শান্তি শৃঙ্খলা ও সহাবস্থান না থাকলে উন্নয়ন ব্যাহত হয়।
প্রশ্ন: বোর্ড চেয়ারম্যান হিসেবে নিজেই নিজের সফলতা-ব্যর্থতা কিভাবে মুল্যায়ন করবেন?
উত্তর : প্রত্যেক মানুষ-ই সফল হতে চায়, হয়ত সব চাওয়া পাওয়া সব সময় পুরণ হয় না, তবে আমি কতটুকু সফল বা ব্যর্থ এটির ভার জনগণের উপর দিলাম, তারাই ভালো বলতে পারবেন।
প্রশ্ন: পর্যটন বিকাশে আপনার সময়ে উন্নয়ন বোর্ড কি পদক্ষেপ নিয়েছে ?
উত্তরঃ ‘স্থানীয় পর্যটন’ পার্বত্য জেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তরিত একটি বিষয়। তারপরও এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য বোর্ড যেখানে যখন প্রয়োজন সহায়তা দিয়েছে। বান্দরবানের নীলাচল, রুমার মুনলাইপাড়া, খাগড়াছড়ির আলুটিলা, রাঙামাটির পলওয়েল পার্ক, রাঙামাটির শিশুপার্ক ইত্যাদিতে উন্নয়ন বোর্ড পর্যটন সহায়ক অবকাঠামো তৈরী করে দিয়েছে। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে
CBT
(Community Based Tourism) কে জনপ্রিয় করার জন্য বোর্ড ওঈওগঙউ এর মাধ্যমে
Destination
Management Plan তৈরী করেছে।
প্রশ্ন: ক্রীড়াঙ্গনে উন্নয়ন বোর্ড এর অবদান কতখানি?
উত্তরঃ রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের স্টেডিয়াম এর অবকাঠামো গ্যালারী উন্নয়ন বোর্ডের তৈরী। ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলার আয়োজনের জন্য বোর্ড প্রতিবছর জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে অনুদান দিয়ে থাকে। অ্যাডভেঞ্চার, পর্যটন ও ক্রীড়াকে জনপ্রিয় করার জন্য বোর্ড আগামী বছরের জানুয়ারী মাসে তিন পার্বত্য জেলায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের আয়োজন করছে। বোর্ড এর অর্থায়নে প্রতি বছর কাপ্তাই হ্রদে শেখ রাসেল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন: কথিত আছে সব সময় বান্দরবান একটু বেশীই বরাদ্দ পায় অন্য দুই জেলা থেকে, বিষয়টিকে কিভাবে মুল্যায়ন করবেন?
উত্তরঃ জাতীয়ভাবে প্রনীত উন্নয়ন সূচকে বান্দরবান এখনো অন্য দুটি পার্বত্য জেলা থেকে পিছিয়ে আছে। সে কারণেই বান্দরবানের বরাদ্দ একটু বেশী।
প্রশ্ন: সরকার এবং স্থানীয়দের মাঝে নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এতো জনপ্রিয় কারন কি?
উত্তরঃ এ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই, জনগণই ভালো বলতে পারবে।
প্রশ্ন: দায়িত্ব শেষে রাজনীতিতে সরাসরি অংশ নেবার কোন পরিকল্পনা আছে কিনা?
উত্তরঃ রাজনীতি আমার বিষয় নয়। রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কোন অভিলাষ বা ইচ্ছা আমার নেই।
প্রশ্ন: বর্ষপুর্তিতে পাহাড়ের সাংবাদিকতা এবং আমাদের অনলাইন নিয়ে আপনার মুল্যায়ন কি?
উত্তরঃ পাহাড়ের সাংবাদিকতাকে আরো বহু পথ পাড়ি দিতে হবে। আগামীতে সব কিছুই অনলাইন এ হবে তাই এই বিষয়ে দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতা আরো বাড়াতে হবে। পাহাড়ে যে কয়টি অনলাইন আছে তার মধ্যে সিএইচটি টুডে ডট কম মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে, তারা অনেকটা নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করার চেষ্টা করে, আমি তাদের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।