সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। ভুমি অধিগ্রহণ আইন সংশোধন না হওয়ায় পার্বত্য জেলাগুলোতে ভুমি অধিগ্রহনে জটিলতা কাটছে না। সম্প্রতি গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ইং তারিখে “স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন ২০১৭ : সংসদে পাশ হয়েছে। দেশের ৬১ জেলায় এই আইন কার্যকর করার কথা বলা হলেও পার্বত্য এলাকার জন্য আলাদা ভুমি অধিগ্রহন আইন করার জন্য ভুমি, আইন ও পার্বত্য মন্ত্রনালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু পার্বত্য এলাকার জন্য আলাদা ভুমি অধিগ্রহন আইন তৈরি না হওয়ায় সরকারি কাজে জমি অধিগ্রহণে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে, আর পার্বত্যবাসী বঞ্চিত হচ্ছে সমতল অঞ্চলের মত সুযোগ সুবিধা থেকে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় এজন্য ভুমি মন্ত্রনালয়কে দোষারোপ করে বলছে বিষয়টি নিয়ে ভুমি মন্ত্রনালয়কে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় জানালেও তারা এখনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৬১ জেলার ভুমি অধিগ্রহণ করা হয় ১৯৮২ সালের স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহন ও হুকুম দখল অধ্যাদেশ অনুযায়ী, আর পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ভুমি অধিগ্রহন করা হয় ১৯৫৮ সনের পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি অধিগ্রহন প্রবিধান অনুযায়ী। ওই আইন অনুযায়ী সমতল এলাকার জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্তরা পায় ১৫০ শতাংশ আর পার্বত্য এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা পায় ১৫% শতাংশ। সম্প্রতি নতুন আইনে এলাকার জমির দাম বিবেচনা করে অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপুরনের পরিমান ২০০ শতাংশ করা হয়, অর্থাৎ জমির মুল্য যদি ১ কোটি টাকা হয় তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাক্তি পাবেন ৩ কোটি টাকা। ১৯৫৮ সালের অধিগ্রহন আইন সংশোধনীর লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিনিধি, সার্কেল চীফদের নিয়ে আন্ত:মন্ত্রনালয় বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও এখনো হয়নি।
ভুমি অধিগ্রহণ আইন সংশোধনী করার বিষয়ে গত রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের ভুমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে ১২ মার্চ ২০১৭ ইং তারিখে “তিন পার্বত্য জেলায় ভুমি অধিগ্রহনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ক্ষতিপুরন প্রদানের বিষয়ে নির্দেশনা” চেয়ে ভুমি মন্ত্রনালয়ে চিঠি পাঠালেও মন্ত্রনালয় থেকে কোন নির্দেশনা এখনো দেয়া হয়নি।
জেলা প্রশাসন থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, পার্বত্য জেলা সমূহে ভূমি অধিগ্রহন কার্যক্রম পার্বত্য চট্টগ্রাম (ভূমি অধিগ্রহন) প্রবিধান, ১৯৫৮ অনুযায়ী সম্পন্ন করা হয়। উক্ত আইনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণকে জমির বাজার মূল্যের উপর ১৫% ভাগ অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের বিধান রয়েছে। সমতল এলাকায় ১৯৮৪ সনের জরুরী অধিগ্রহন আইন অনুযায়ী অতিরিক্ত ১৫% ভাগ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হত। পরবর্তীতে ১৯৪৮ সনের জরুরী অধিগ্রহন আইন সংশোধন করে ১৫% পরিবর্তে ৫০% অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ মূল্য প্রদানের বিধান করা হয়েছে। কিন্তু তিন পার্বত্য জেলার জন্য প্রযোজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম (ভূমি অধিগ্রহন) প্রবিধান, ১৯৫৮ সংশোধন করা হয়নি। ফলে পার্বত্য জেলা সমূহে অদ্যাবধি ১৫% ভাগ অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিধান বলবৎ রয়েছে।
২) ভূমি মন্ত্রালয়ের স্মারক নং-ভুঃ মঃ/শা-১১হুঃ দঃ/খাগড়া-৩৫/৯৬-১৫৬, তাং-১৬/৬/২০১০ খ্রিঃ মূলে পার্বত্য এলাকায় ভূমি অধিগ্রহনের ক্ষেত্রে দেশের অন্যান্য এলাকার ন্যায় ৫০% অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট মতামত চাওয়ার প্রেক্ষিতে এ কার্যালয় স্মারক নং- ১১০, তাং- ২১/০৭/২০১০খ্রিঃ মূলে দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় পার্বত্য এলাকায়ও ৫০% অরিরিক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়ে সুপারিশসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করা হয়। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ হতে পার্বত্য চট্টগ্রাম (ভূমি অধিগ্রহন) প্রবিধান, ১৯৫৮ সংশোধন করে ৬১ সমতল জেলার ন্যায় তিন পার্বত্য জেলায় ১৫% এর পরিবর্তে ৫০% অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে পত্র দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বর্ণিত বিষয়ে এ কার্যালয়ে হতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের এবং ভূমি মন্ত্রাণালয়ে এ সংক্রান্তে পত্র প্রেরন করা হয়।
৩) পার্বত্য এলাকায় চলমান ক্ষতি পূরণ প্রদানের প্রক্রিয়ার উপর এল এ মামলা নং ৩(ডি)/২০০১-০২(খ)(১০২) এল এ মামলা নং ৩(ডি)/২০০১-০২(ঘ্র)(১০২) এর ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদ্বয় জেলা প্রশাসকের, রাঙামাটি পার্বত্য জেলাকে বিবাদী/প্রতিপক্ষ করে ভূমি মন্ত্রালয়ের পরিপত্র নং-ভুঃ মঃ/শা-১০/হুঃ দঃ/সাধারণ-১৬/৯১/৫৮৪(৮৩)একুইন, তারিখ- ৮/১১/১৯৯৩ এর আলোকে সাড়া দেশের ন্যায় ভূমি অধিগ্রহনের ক্ষেত্রে বাজারমূল্যসহ ৫০% অতিরিক্তি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা জজ আদালত, রাঙামাটি বরাবর মিছ রিভিউ মামলা নং- ০৩/০৮ এবং সিভিল ৫৫৯/০৮ দায়ের করেন। উক্ত মামলাদ্বয়ের আদেশে আদালত কর্তৃক বাদীকে বর্তমান বাজার মূল্যসহ ৫০% অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহনের ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করতে বিবাদী/প্রতিপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে এল এ মামলা নং ৩(ডি)/২০০১-০২(খ)(১০২) ও এল এ মামলা নং ৩(ডি)/২০০১-০২(ঘ্র)(১০২) এর ক্ষেত্রে বাজারমূল্য সহ অতিরিক্ত ৫০% ক্ষতিপূরণ ধার্য করে প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়। উক্ত মামলাদ্বয়কে রেফারেন্স হিসাবে বিবেচনা করে পরবর্তীতে এ কার্যালয়ে এল এ মামলা নং-২ডি/২০০৯-১০(১০২), ৪(ডি)/২০১১-১২(১০২), ১(ডি)/২০১২-১৩(৯৮), ২(ডি)/২০১৩-২০১৪(১০০), ৪(ডি)/২০১৩-১৪(৯৫এ ও ৮৭) ও ৬(ডি)/২০১৩-১৪(১১০) এর ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণকে বাজার মূল্যসহ ৫০% অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা বিধি সম্মত কিনা এ বিষয়ে প্রশ্ন উস্থাপিত হচ্ছে।
৪) কাপ্তাই বাধ সৃষ্টির ফলে রাঙামাটি জেলার অধিকাংশ সমতল জমি প্লাবিত হওয়ায় উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য ভূমি প্রাপ্তি ক্রমশ: দূরহ হয়ে পড়েছে। এছাড়া ১৯৫৮ সালের প্রবিধান অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত হওয়ায় ভূমি মালিক ন্যায়্য ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না, ফলে তারা তাদের মালিকানাধীন জমি/সম্পত্তি অধিগ্রহনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য ভূমি অধিগ্রহন কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ ও বিলম্বিত হচ্ছে। বর্তমানে এ জেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত জনগুরুত্বপূণূ হিসাবে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলিক পরিষদ, বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, বিজিবি, আনসার, ফায়ার স্টেশন, বিআরটিএ এবং বিভিন্ন সংস্থার জমি অধিগ্রহনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহনের জন্য প্রত্যাশি সংস্থা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণকে প্রদানের জন্য বাজার মূল্যসহ ৫০% অতিরিক্তসহ ক্ষতিপূরণের অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হলেও রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভূমি অধিগ্রহনের নিমিত্ত প্রস্তাবিত জমির ক্ষতিপূরণ প্রাক্কল প্রস্তুতের পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু উপরোক্ত জটিলতার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণকে ক্ষতিপূরণ এবং এলএ মামলার ক্ষতিপূরণের প্রাক্কলণ প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতিমধ্যে চলমান প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণ বাজারমূল্য সহ ৫০% অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের অর্থ দাবি করেছেন। কিন্তু আইনগত জটিলতার কারণে এবং ক্ষতিপূরণের হারের বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় জেলা প্রশাসনের আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও চলমান প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ প্রদানে বিঘœ ও বিলম্ব সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের মাঝে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাজারুল মান্নান জানিয়েছেন, পার্বত্য এলাকার ক্ষেত্রে ভুমি অধিগ্রহন আইন সংশোধন না হওয়ায় ভুমি অধিগ্রহনে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের অধিগ্রহনকৃত জমি বুঝিয়ে দিলেও মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য সরকারি স্থাপনার জন্য জায়গা অধিগ্রহন সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রনালয়ের কাছে নির্দেশনা চেয়ে চিঠি পাঠালেও তার কোন উত্তর এখনো আসেনি।
বিষয়টি নিয়ে চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেছেন, ভুমি অধিগ্রহন আইনে সারাদেশে জমির মুল্যর ক্ষতিপুরন ৩গুন করার কথা বলা হয়েছে এটা ভালো দিক. কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের কথা ভুলে গিয়ে এই আইন করা হয়েছে। যাদের জমি বন্দোবস্তীকৃত তারাই কেবল ক্ষতিপুরন পাবেন কিন্তু যারা প্রথাগত নিয়মে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে, বন সংরক্ষন করে, জুম চাষ করে তাদের জমি যদি সরকার নিয়ে যায় তাদের কি হবে? তারা কি ক্ষতিপুরন পাবেন সে বিষয়টি উল্লেখ নেই। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ থেকে বিষয়টি সরকারকে জানানো হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলাকে বাদ রেখে ৬১ জেলার জন্য আইনটি করা হলেও পার্বত্য এলাকার ক্ষেত্রে আইন করার সময় এখানকার প্রথা, রীতিনীতিকে গুরুত্ব দিয়ে সংশোধন করতে হবে। পার্বত্য এলাকার ক্ষেত্রে ভুমি অধিগ্রহন আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে এখানকার রাজনৈতিক, সামাজিক প্রথাগত ব্যাক্তিদের মতামত নিতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা জানান, ভুমি ও ভুমি ব্যবস্থাপনা পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের হাতে ন্যস্ত নয়, তাই আমরা কিছু করতে পারছি না। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ থেকে ভুমি অধিগ্রহণ বিষয়ে একটি মতামত পাঠানো হয়েছে এটি আমরা ভুমি মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি কিন্তু ভুমি মন্ত্রনালয় থেকে এখনো কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। ভুমি সংক্রান্ত সকল কাজ ভুমি মন্ত্রনালয়ের আমরা কেবল তাদের কাছে পাঠাই বাকি কাজ তারা করে তাই আমরা কিছু করতে পারি না। তবে শীঘ্রই আমরা বিষয়গুলো নিয়ে বসে একটা সিদ্ধান্তে যাব বলে আশা করছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের সচিব বলেন, ১৯৫৮ সনের আইন অনুযায়ী সমতলে যে সুযোগ সুবিধা সেটি যেন পার্বত্য এলাকার মানুষ পায় আমরা সে ব্যাপারে চিঠি পাঠিয়েছি। পার্বত্য মন্ত্রনালয় ৩ পার্বত্য জেলা দেখে, আর ভুমি মন্ত্রনালয় ৬৪ জেলা দেখে আমরা যেভাবে গুরুত্ব দেই তারা হয়ত সেভাবে গুরুত্ব দেয় না তাই দেরি হচ্ছে। তবে শীঘ্রই সব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।
বিষয়টি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশে সিং জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ১৯৫৮ সনের আইন সংশোধন করা হবে এবং একটি আন্ত:মন্ত্রনালয় সভা ডাকা হবে। যেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদসহ সব পক্ষ থাকবে যাতে সমতলের মত পাহাড়ের মানুষরা সমান সুযোগ পাবে।
শান্তি চুক্তি অনুযায়ী ভুমি ও ভুমি ব্যবস্থাপন পার্বত্য মন্ত্রনালয়ে হস্তান্তর করার কথা থাকলেও চুক্তির ২০ বছরেও ভুমি ও ভুমি ব্যবস্থাপন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে হস্তান্তর না করায় তারা পার্বত্য এলাকার ভুমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
নানা জটিলতায় থমকে আছে পাহাড়ে নানা উন্নয়ন কার্যক্রমে ভুমি অধিগ্রহণের কাজ, আইন সংশোধন না হওয়ায় ভুমি অধিগ্রহণ জটিলতা কাটছে না। শান্তি চুক্তি অনুযায়ী ভুমি ও ভুমি ব্যবস্থাপনা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের কাছে হস্তান্তর করলে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভুমি সংক্রান্ত জটিলতা কমে আসবে বলে অভিজ্ঞমহলের ধারণা।