প্রকাশঃ ০৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১১:৪৩:৫১
| আপডেটঃ ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৮:২৪:২৩
সিএইচটি টুডে ডচ কম ডেস্ক। পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ 'পিসিসিপি' কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে দপ্তর সম্পাদক মো: জমির উদ্দিনের স্বাক্ষরিত প্রেস বিবৃতি গণমাধ্যম দেওয়া হয় বৃহস্পিবার (৩ অক্টোবর) বিকালে।
বিবৃতিতে পিসিসিপি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসান মুহাম্মদ সোহেল রানা। ২০২১ সালে তার বিরুদ্ধে এক পাহাডী ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ির উপজাতীয় আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ সোহেল রানার বিচার দাবি করে।
ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক সোহেল রানার বিরুদ্ধে ধর্ষিতা ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা করে। মামলার প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৩ মার্চ তারিখে সোহেল রানা ঢাকায় গ্রেফতার হন। এরপর তিনি কারাগারে ছিলেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই শিক্ষক সোহেল রানাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল পাহাড়ি ছাত্রছাত্রীরা। বেশ কয়েক বছর আগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে এক পাহাড়ি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়েছিল। ওই ছাত্রী আদালতে এসে সাক্ষ্য দেয় তিনি কোন ধর্ষণের শিকার হননি। পাহাড়ি সংগঠন ইউপিডিএফ এর চাপে মামলা করেছে মর্মে সাক্ষ্য দিলে সোহেল রানা খালাস পান এবং চাকরিতে যোগদান করেন। সোহেল রানা চাকরিতে যোগদানের পর থেকে পাহাড়ি ছাত্ররা তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির নানা অভিযোগ এনে প্রত্যাহার দাবি করে আসছিল। ১ অক্টোবর মঙ্গলবার শিক্ষক সোহেল রানা বিদ্যালয় এলে ত্রিপুরা এক ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ এনে শিক্ষককে হত্যা করা হয়।
শিক্ষক সোহেল রানার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ীদের প্রতিবাদের মুখে তিনি বিদ্যালয় থেকে রিলিজ অর্ডার নিতে এসেছিলেন। কিন্তু তাকে সেই সুযোগ দেয়া হলো না।
পিসিসিপি নেতৃবৃন্দ প্রেস বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারাদেশে মব লিঞ্চিং এ মারা যাওয়া কারোর অতীতে কতগুলা চুরি করলো সেটা উঠে আসে না, কতগুলা মামলা ছিলো সেটাও উঠে আসেনা। কিন্তু খাগড়াছড়িতে মব লিঞ্চিং এ মারা যাওয়া মামুনের অতীতের চুরির ঘটনা উঠে আসে, সোহেল রানার ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা উঠে আসে।
সারাদেশে মব লিঞ্চিং থাকলেও, খাগড়াছড়িতে এসে অতীতের ঘটনা উঠিয়ে সেটা মব জাস্টিজই বানানো হয়।
খাগড়াছড়িতে ১৮ সেপ্টেম্বর মামুনের হত্যাকারী, ১৯ সেপ্টেম্বর দীঘিনালায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা উস্কানিতে প্রথমে হামলাকারী ও ফাকা গুলি করা পাহাড়ি উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা, ২০ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি শহরে সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারের আড়ালে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্তৃক প্রথমে বাঙালিদের দোকানপাটে হামলা, মসজিদে হামলা,বাস, ট্রাক, সিএনজি ভাংচুর ও জ্বালিয়ে দেওয়া পাহাড়ি উপজাতি সন্ত্রাসীদের ও ১ অক্টোবর শিক্ষক সোহেল রানার হত্যাকারী উপজাতি সন্ত্রাসীদের অতি দ্রæত আইনের আনার দাবি জানানো হয় অন্যথায় লাগাতার অবরোধ, হরতাল সহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অচল করে দিবে পিসিসিপি।