বিজয় দিবস ঘিরে এনসিটিএফ’র চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী বড় দিন উপলক্ষে দূর্গম এলাকায় সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সকল ধরনের বৈষম্য দূর করতে হবে : এড: এয়াকুব আলী চৌধুরী বান্দরবানে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কর্মশালা
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। দুর্গম পার্বত্য সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বেকার তরুণ ও যুবকদেরকে কারিগরী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিজিবি'র ব্যবস্থাপনায় জেনারেটর প্রস্তুতি ও বৈদ্যুতিক ওয়েলডিং এর ওপর কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
বিজিবির কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন (৪১ বিজিবি) সম্প্রীতি ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গত ১৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে রাঙামাটির জুড়াছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম পানকাটা বিওপি‘র ব্যবস্থাপনায় এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়। ৪ (চার) সপ্তাহব্যাপী চলমান এ প্রশিক্ষণ আজ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে শেষ হয়।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী ১১ জনের মধ্যে সকলেই সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়।
আজ এক সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন (৪১ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে: কর্নেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়া, পদাতিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদেরকে বিষয়োক্ত প্রশিক্ষণের সনদপত্র এবং ওয়েল্ডিং ও বৈদ্যুতিক কাজের জন্য বিভিন্ন টুলস সামগ্রী প্রদান করেন।
এ সময় অধিনায়ক তার বক্তব্যে বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মাননীয় মহাপরিচালক মহোদয় এর নির্দেশনা 'বিজিবি হবে সীমান্তে নির্ভরতার প্রতীক। এই মূল মন্ত্রকে সামনে রেখে কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন দুর্গম সীমান্তবর্তী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের তরুণ ও যুব সমাজকে কর্মমুখী করে দেশীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার সম্ভাবনা তৈরির জন্য চার সপ্তাহব্যাপী এই কারিগরি প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। সফলতার সাথে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার জন্য তিনি অংশগ্রহণকারী সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে কর্মক্ষম রাখা এবং বাস্তব কর্মজীবনে প্রয়োগের মাধ্যমে অধিকতর সাফল্য বয়ে আনার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পক্ষ হতে বিজয় চাকমা এবং স্থানীয় জনসাধারনের পক্ষ হতে মেম্বার লক্ষীলাল চাকমা বক্তব্য প্রদান করেন । এসময় তারা দূর্গম সীমান্তবর্তী পার্বত্যাঞ্চলে এ ধরনের জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিজিবিকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এধরনের জনকল্যানমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য বিজিবির নিকট অনুরোধ করেন।