বান্দরবানে জমে উঠেনি বৃক্ষমেলা,ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা
প্রকাশঃ ২৩ জুলাই, ২০১৮ ০৬:১৩:৪৩
| আপডেটঃ ২১ নভেম্বর, ২০২৪ ০২:১১:২৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। প্রতিবছরের ন্যায় এবার বান্দরবানে বৃক্ষমেলা আয়োজন করে জেলা প্রশাসন,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বন বিভাগ বান্দরবান। গত ১৮ জুলাই থেকে সপ্তাহব্যাপী আয়োজনে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের প্রাঙ্গনে শুরু হয় এই বৃক্ষমেলা।
কিন্ত মেলার শুরুতেই প্রচন্ড গরম আর প্রচার প্রচারণার অভাবে ক্রেতাশুন্য দেখা যায় মেলা প্রাঙ্গন।মেলা প্রাঙ্গনে গিয়ে দেখা যায় মাত্র ১২টি স্টল নিয়ে হাজির হয় চট্টগ্রাম,ফতেয়াবাদ,বাঁশখালী,বালাঘাটা সহ বিভিন্ন এলকার নার্সারী।
চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান বৃক্ষমেলায় আসা ফতেয়াবাদ নার্সারীর মালিক মো:কামাল জানান, এবারের মেলায় বিক্রি কম। ক্রেতা নেই বললেই চলে। চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান এসে এবারের মেলায় ভালো বিক্রি করতে পারছি না। আয়োজকদের ও সহযোগিতা মিলছে না ।
ফতেয়াবাদ নার্সারীতে কর্মরত মো:আরিফ জানান, প্রতিবছর বান্দরবানে বৃক্ষ মেলায় আসি। এবারে বিক্রি কম। আমরা কষ্টে আছি । আয়োজকরা তেমন প্রচার চালাইনি, আর মেলা প্রাঙ্গনে কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্টান না হওয়ায় ক্রেতার উপস্থিতি ও কম।
বালাঘাটা শ্রমিক কল্যাণ নার্সারীর মালিক মো:মহিউদ্দিন জানান, এবারের মেলা তেমন জমছে না। বেচাকেনা কম। আমরা পাঁচজন এসেছি দৈনিক তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ হলে ও বিক্রি নেই একহাজার টাকা।
মেলায় ঘুরতে আসা মো:শহীদ জানান,আমি বৃক্ষমেলায় তেমন মজা পাচ্ছি না। বৃক্ষমেলায় মাত্র ১২টি চারা বিক্রির স্টল আর ফুচকা চটপটি ও কসমেটিক সামগ্রীর দোকান। আরো কয়েকটি দোকান যদি আসতো তাহলে আমরা আরো বেশ কিছু নতুন নতুন জাতের চারার জাত সর্ম্পকে জানতে পারতাম ।
বান্দরবান কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী পিয়াল বিশ্বাস বলেন,প্রতিবছর মেলা আসলে কত না খুশি লাগতো, সব সময় ভাবতাম কখন বৃক্ষমেলা হবে,বৃহস্পতিবারে স্কৃল ছুটির পর বাবা মা’র সাথে একটু গান বাজনা দেখতে যাব ,কিন্তু এবার তো বৃক্ষমেলায় এসে দেখি যেখানে মেলার অনুষ্ঠান হয় সেখানে কোন অনুষ্ঠান হচ্ছে না। স্টলের সংখ্যাও হাতে গনা কয়েকটি।
বৃক্ষমেলায় ঘুরতে আসা বান্দরবান কলেজের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান বলেন, বান্দরবানে এই কেমন বৃক্ষ মেলা হচ্ছে নেই কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,নেই কোন প্রচার। মনে হচ্ছে নির্জন কোন একটা স্থানে সবাই গাছ নিয়ে বসে আছে। ছোটবেলায় যখন মেলায় আসতাম তখন মেলার আমেজ পেতাম কিন্তু এখন তো এটা মেলা নামে ফটোশেসন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে বান্দরবান বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা বজ্রগোপাল রাজবংশী বলেন,মিটিং এর সিদ্ধান্ত মতে জেলা তথ্য অফিস ৩ বার মাইকিং করছে আমরা ব্যক্তিগতভাবে ২ বার মাইকিং করছি। গত বারের তুলনাই এবার মেলাতে ২টি স্টল বেশি আছে মোট ১২টি। প্রচার প্রচারণায় আমাদের কোন ঘাটতি ছিলনা। মেলা শুরুতে প্রচন্ড গরম ছিল তাই বেচা বিক্রয় তেমন হয়নি। এই কয়েকদিন রোদ বেশি পড়ছি তাতে বেচা বিক্রয় কম হয়েছে, এতে আপনার আর আমার কি করার আছে! আল্লাহর রহমতে আজ বৃষ্টি হচ্ছে বেচা বিক্রয় মোটামুটি ভালো হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গত বছর ও ছিল না এবার নেই।