রাঙামাটি জেলা উন্নয়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
প্রকাশঃ ২৫ জুনe, ২০১৯ ০৮:০৮:২০
| আপডেটঃ ২১ নভেম্বর, ২০২৪ ০৬:২৫:২০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হুশিয়ারি ও অভিযান পরিচালনার নির্দেশনার পর সারাদেশে এখন কঠোর অবস্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। দেশজুড়ে চলছে অভিযান। এরই অংশ হিসেবে এ অভিযান যেন এ জেলায়ও কঠোর ও সঠিকভাবে হয় সে বিষয়ে প্রশাসনের পাশাপাশি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পরামর্শ দিয়েছেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। তিনি বলেন, মাদক সেবন ও বিক্রী বন্ধ করা না গেলে আমাদের যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। হবে সামাজিক অবক্ষয় ও অবনতি। তাই মরন নেশাকে নির্মূল করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে জেলা উন্নয়ন কমিটির মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা এসব কথা বলেন।
সভায় পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার পল্লব হোম দাস’সহ পরিষদের হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা আরো বলেন, বর্তমান সরকার পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের সকলের সমন্বয় প্রয়োজন। তাই পরিষদের প্রতিটি সভায় উপস্থিত থেকে এ জেলার সার্বিক উন্নয়নে মতামত ও পরামর্শ প্রদান করার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ আনিসুল হক বলেন, জেলার রাজস্থলী, নানিয়ারচর ও লংগদু উপজেলায় ফায়ার ষ্টেশন নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। এছাড়া জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ বেডে উন্নীত করনের লক্ষ্যে নকশা তৈরির কাজ চলছে। নকশা হয়ে গেলে কাজ শুরু হবে।
বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার বলেন, গত সভায় অনুরোধেক্রমে ইতিমধ্যে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছে। বাকী যে সকল প্রতিষ্ঠান এখনো বিল পরিশোধ করেনি শীঘ্রই পরিশোধ করার অনুরোধ জানান তিনি।
এলজিইডি এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইব্রাহিম খলিল জানান, আসামবস্তী-কাপ্তাই সড়ক মেরামত ও সংস্কারের জন্য কনসালটেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া ঝুকিপূর্ণ সড়কগুলো বল্লি দিয়ে পাইলিং দেওয়া হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শংকর চন্দ্র পাল জানান, কাউখালীর ঘাগড়া টেক্সটাইল মিল অংশের রাস্তার উভয় দিক থেকে মেরামত করা হয়েছে। অন্যদিকে গত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফিসারীঘাট হতে ডলফিন স্টেশন পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে গাছের ডালপালা কাটা হচ্ছে। এছাড়া চলতি বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কে যান চলাচলে যাতে বিঘœ না ঘটে সে লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান জানান, বর্ষা মৌসুমে ভূমি ধ্বস ও অন্যান্য দুর্যোগকে সামনে রেখে ঢাকা থেকে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক কর্তৃক নানিয়ারচর ও রাজস্থলী উপজেলার স্বেচ্ছাসেবকদের ৬দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সকল প্রকার দুর্যোগ, সেবা ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পৃক্ত করা গেলে সেবা ও উন্নয়নমূলক কাজগুলো দ্রুত হবে।
এছাড়া উত্তর, দক্ষিণ বন বিভাগ, ঝুম নিয়ন্ত্রণ, ইউএসএফ ও পাল্পউড বাগান বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাগণ জানান, বর্তমানে স্থানীয় গাছের চারাগুলো উত্তোলন করা হয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে চারাগুলো বিক্রী ও প্রদান করা হবে।
সভায় উপস্থিত অন্যান্য বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ স্ব স্ব বিভাগের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।