প্রকাশঃ ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ১১:১৫:৫৩
| আপডেটঃ ২২ নভেম্বর, ২০২৪ ০৬:৩১:২৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় শুরু হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ফুটবল টূর্ণামেন্ট। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা স্টেডিয়ামে টূর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এনডিসি।
এসময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক, বিজিব’র সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল গাজী মুহাম্মদ সাজ্জাদ, জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি সেনা জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরাফাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম সালাউদ্দিন, পৌর সভার মেয়র মো. রফিকুল আলম, ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিসদ সদস্য জুয়েল চাকমাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে সাবেক সচিব ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, ক্রীড়া চর্চার মাধ্যমে পাহাড়ে নব দিগন্তের সূচনা হবে। সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড-কে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি তিন পার্বত্য জেলার ক্রীড়া-সংস্কৃতি-শিক্ষা উন্নয়নেও পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে চলেছেন। পাহাড়ের ক্রীড়াঙ্গনকে সক্রিয় রাখতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করলে মাদকমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব। তাই মাদক নয়, ক্রীড়ার প্রতি মনোনিবেশ করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের জিএসও (টু) মেজর রফিক, জেলা পরিষদ সদস্য ও বাংলাদেশ মারমা উন্নয়ন সংসদ-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা পরিষদ সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল ও সদর থানার ওসি সাহাদাত হোসেন টিটো, জেলা ক্রীড়া অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ধুমকেতু মারমা ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি অনুপ কুমার চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মাঠে গড়ায় মারমা উন্নয়ন সংসদ ও মহালছড়ি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা একাদশ-এর উদ্বোধনী ম্যাচ।
উদ্বোধনী ম্যাচ’র দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিট ও ৩০ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশ মারমা উন্নয়ন সংসদ-এর মুরো মারমা দুইটি গোল করে প্রতিদ্বন্ধী মহালছড়ি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাকে পরাজিত করে।
টূর্ণামেন্টে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার মোট ১৪টি দল অংশগ্রহণ করেছে। খেলায় স্থানীয় খেলোয়াড়দের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের ফুটবলাররাও অংশ নিয়েছেন।
টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে চাকমা-মারমা-ত্রিপুরা বাঙালি সংস্কৃতির সম্মিলনে প্রদর্শিত ডিসপ্লে দর্শকদের দারুণ আন্দোলিত করে