প্রকাশঃ ২৩ এপ্রিল, ২০১৮ ০৮:৫৪:০৮
| আপডেটঃ ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ০৮:৫২:৫৬
শাহ আলম, সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। অবৈধভাবে পাহাড়ের ঢালুতে বসবাস করা যাবে না উল্লেখ করে ত্রাণ ও দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, অবৈধভাবে পাহাড়ের উচু নিচু ও ঝুকিপুর্ণ জায়গাতে বসবাসকারীরা নিজের ইচ্ছায় নিরাপদ স্থানে চলে না গেলে প্রশাসন তাদেরকে সরানোর ব্যবস্থা নিবে, আমরা চাই না পাহাড়ে আর ভুমি ধব্বস হোক বা কোন প্রানহানি ঘটুক।
তিনি আরো বলেন, পাহাড় ধ্বসে মানুষের জান মালের যাতে কোন ক্ষয়ক্ষতি যেন না হয়, সেই লক্ষ্যে ত্রাণ ও দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং আমাদের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
আজ সোমবার দুপুরে ত্রাণ ও দুযোর্গ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে পাহাড় ধস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আগাম সতর্কতামূলক কার্যক্রম সম্পর্কিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আজ সোমবার দুপুরে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউটে মিলনায়তনে পাহাড় ধস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আগাম সতর্কতামূলক কার্যক্রম সম্পর্কিত শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরো বলেন, গত বছর পাহাড় ধ্বসে অনেক মানুষের প্রাণ হারিয়েছে, আর যেন প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে তাই আমাদের আজকের কর্মসূচি পাহাড় ধস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আগাম সতর্কতামূলক কার্যক্রম। আমরা ইতি মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আগাম প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। তিনি বলেন, পাহাড়ের পাদ দেশে অবস্থানকারীদের এবার একেবারে সরিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে সংযুক্ত হয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার আহবান জানান মন্ত্রী।
এসময় মন্ত্রী দুযোর্গ মোকাবেলার আগাম প্রস্তুতি ও আপদকালীন ত্রাণ হিসেবে মজুদ রাখার জন্য জেলা প্রশাসনকে ৩০০মে.টন চাউল, জিআর ক্যাশ ৫লক্ষ টাকা ও ৫০০বান্ডেল টিন প্রদান করেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, সংসদ্য সদস্য ঊষাতন তালুকদার, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফারুক, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার আলমগীর কবির। এসময় ভুমি ধব্বস ঠেকাতে আগাম করণীয় বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবন্দসহ সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তারা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
এর আগে সকালে পাহাড় ধস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আগাম সতর্কতামূলক কার্যক্রম সম্পর্কিত একটি মোটর শোভাযাত্রা রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গন হতে বের হয়ে দোয়েল চত্বর ঘুরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউটে শেষ হয়।