কাল থেকে রাঙামাটির সাজেকে আবারো পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন রাঙামাটির নতুন জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ রাঙামাটিতে পৌরপ্রাঙ্গণ মাঠ উন্মুক্ত রাখার দাবিতে মানববন্ধন রাঙামাটির ভেদভেদীতে জমি দখল নিয়ে দুই প্রতিবেশীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এপেক্স ক্লাব অব বান্দরবান এর উদ্যোগে বান্দরবানে বৌদ্ধ অনাথালয়ে কম্বল বিতরণ
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। নাচের প্রতি টানটা ছোটকাল থেকেই। নাচটাতেই স্বস্তি, শান্তি খুঁজে পায় সে। নাচকে জড়িয়ে নিয়েছেন নিজের জীবনের আষ্টেপৃষ্টে। এ নাচই ভবিষ্যত পথচলার জন্য প্রিয়ন্তী ধর পিংকিকে অনেক সুখকর প্রাপ্তি এনে দিয়েছে ইতোমধ্যে। এসব প্রাপ্তিকে পথচলার পুজিঁ হিসেবে পার্বত্যাঞ্চলের পাশাপাশি বাংলাদেশের নৃত্যাঙ্গনে আলো ছড়াতে চায় পিংকি। নিজের প্রতিভাকে জানান দিতে চায় সকলের সামনে। পিংকি জানে, তার একাগ্রতা, ইচ্ছাশক্তি অবশ্যই একদিন সাফল্য ছড়াবে পার্বত্য জেলাসহ দেশের আনাচে-কানাচে। পিংকি তাই প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে সে মাহেন্দ্রক্ষনের, সে প্লাটফর্মের। পিংকি আশাবাদী, সকলের হাত ধরে, সে একদিন সফল হবেই।
প্রিয়ন্তী ধর পিংকি একজন উদীয়মান প্রতিভাবান নৃত্য শিল্পী। পিংকি কাপ্তাইয়ের বাংলাদেশ নৌ বাহিনী স্কুলের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী। তার বাড়ি কাপ্তাই বিদ্যুৎ প্রজেক্টর ফুল বাগান এলাকায়। পিংকি দুই বোনের মধ্যে ছোট।বড় বোন প্রিয়াংকা ধর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। বাবা প্রিয়তোষ ধর পিন্টু পেশায় ব্যবসায়ী। নাচের সাথে পিংকির সখ্যতা ও হাতেখড়ি সাড়ে তিন বছর বয়স থেকে। বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী সঙ্গীতা দত্ত এ্যানীর কাছ থেকে প্রথমে, পরবর্তীতে নৃত্য শিক্ষক মো: মহিউদ্দিন এর কাছ থেকে তালিম নিচ্ছেন। এ ছাড়াও নাচের উপর বিভিন্ন প্রশিক্ষনে অংশগ্রহন করেছেন। পিংকি জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে বিজয়ী হয়েছেন।
প্রিয়ন্তী ধর পিংকির মা ক্ষিমা ধর বলেন, আমার মেয়ে পিংকি খুব ছোটাবেলা থেকে তার নাচের প্রতি আগ্রহ। সে পড়া লোখার পাশাপাশি নাচ শিখছে। আমার বিশ্বাস নাচ দিয়েই একদিন সে সাফল্য কুড়িয়ে আনবে। কিন্তু তিনি বলেন, আমরা থাকি গ্রাম্য এলাকায় যেখানে জেলা এবং উপজেলায় নাচের প্রতিযোগিতা বা অনেক অনুষ্ঠান হলেও খবর পাইনা যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে।
পিংকির বাবা প্রিয়তোষ ধর পিন্টু বলেন, পিংকি পড়ালেখার পাশাপাশি নাচটাকে খুবই গুরুত্ব দেয়। আমি সকলের কাছে আর্শীবাদ প্রার্থী সে ভষ্যিতে যাতে অনেক দুর এগিয়ে যেতে পারে।তিনি বলেন,সে ২০১৫সাল থেকে স্কাউটের সাথে জড়িত আছে। সে ২০১৬ সালের স্কাউট জাস্বুরীতেও অংশগ্রহন করেন।
প্রিয়ন্তী ধর পিংকি বলেন, আমি নাচকে মনে প্রাণে ভালোবাসি, এটাকে আমি ভালভাবে রপ্ত করতে চাই। নাচের পাশাপাশি ভবিষ্যতে আমি একজন ডাক্তার হতে চাই।
প্রিয়ন্তীর অর্জন ঃ
২০১২ সালে বাংলাদেশ ধ্রুব সাংস্কৃতিক পরিষদের পরীক্ষায় লোকনৃত্যে প্রথম, ২০১৭ সালে সাধারন নৃত্য বিভাগে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা দ্বিতীয় স্থান,লোকনৃত্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।