রাঙামাটির ভেদভেদীতে জমি দখল নিয়ে দুই প্রতিবেশীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
প্রকাশঃ ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৫:৩৪:৫৯
| আপডেটঃ ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০১:৫৮:২৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে জমি দখল নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন একই এলাকার দুই প্রতিবেশী। বর্তমানে বিরোধকে কেন্দ্র করে মারমুখী অবস্থানে উভয় পরিবারের লোকজন।
এ ঘটনা শহরের ভেদভেদীর পশ্চিম মুসলিমপাড়া এবং শিমুলতলীর বেতার ভবন সংলগ্ন এলাকার। ভেদভেদী পশ্চিম মুসলিম পাড়ার মৃত মো. হোসেনের তিন ছেলে মো. আফসার হোসেন, মো. আক্তার হোসেন ও মো. রবিউল হোসেন রাব্বানি পাশর্^বর্তী শিমুলতলীর বেতার ভবন সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারীমৃত মো. খুল্যামিয়ার ছেলে মো. আমীর আলীর বিরুদ্ধে ওই তিন ভাইয়ের নামে বহু সংখ্যক মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল-জুলুমসহ নানা নির্যাতন ও হয়রানির মাধ্যমে তাদের ২৫ শতক জমি জবর দখল করার অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুওে শহরের ভেদভেদী এলাকার লোকনাথ মন্দিও সংলগ্ন একটি ক্লাব ঘওে আহূত এক পালটা সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা।
এর আগে ২৯ নভেম্বও শিমুলতলী বেতার ভবন সংলগ্ন নিজবাড়িতে আহূত এক সংবাদ সম্মেলনে আফসার হোসেন, আক্তার হোসেন ও রবিউল হোসেনের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রভাব খাটিয়ে তার নিজ নামে রেকর্ডীয় জমির অনেক অংশ বেদখল করার অভিযোগ করেন মো. আমীর আলী। ওই সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, এর কিছুদিন আগে আফসার হোসেন, আক্তার হোসেন ও রবিউল হোসেন রাব্বানি ২০-২৫জন সন্ত্রাসী নিয়ে আমার রেকর্ডীয় ভূমি দখল করতে যায়। এতে বাধা দিলে তারা আমাকে নানা হুমকি দিয়ে আমার জমিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বলে। এ সময় তারা আমার কাছ থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা দাবি করে আমাকে তুলে নিয়ে অপহরণের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন। আফসার হোসেন এখন জেলা যুবদল নেতার প্রভাব খাটিয়ে আমার রেকর্ডীয় জমির বিশাল অংশ বেদখল করতে চাইছে। তারা তিন ভাই এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ।
এরপর মঙ্গলবার আহূত পালটাসংবাদ সম্মেলনে আফসার হোসেন ও রবিউল হোসেন বলেন, আমীর আলী একজন ভয়ঙ্কর মামলাবাজ ও ভূমিদস্যু। তিনি সাবেক মন্ত্রী চট্টগ্রামের হাসান মাহমুদসহ পতিত আওয়ামীলীগের দোসরদেও প্রভাব খাটিয়ে আমাদেও ২৫ শতক জায়গার সিংহভাগ বেদখল কওে আছেন। ওই জমি ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় কিনে ছিলেন আমাদেও বাবা। অবশিষ্ট জমিতে আমরা দীর্ঘদিন ধওে বসবাস কওে আসছি। জমিটি বেদখল কওে নিতে আমীর আলী আমাদেও তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ২৮টি মিথ্যা মামলা দিয়েছিলেন। তার দেওয়া এসব মিথ্যা মামলায় জেল-জুলুমের শিকার হয়েছিলাম আমরা।আমরা আইন গতভাবে সুষ্ঠু বিচাওে আমাদেও জমি উদ্ধার করতে চাই। আমরা সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমাদেও বিরুদ্ধে তোলা আমীর আলীর সব অভিযোগ মিথ্যা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সমাজ কমিটির উপদেষ্টা সাইদুল হক বাদশা বলেন, আমীর আলীর নির্যাতনের শিকার এলাকার নিরীহ মানুষ অনেকে। বিগত আওয়ামীলীগের সময়ে তিনি ওই তিন ভাইয়ের জমিসহ অনেক নিরীহ মানুষের জায়গা জবর দখল কওে নিয়েছেন। তিনি মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকার নিরীহ মানুষকে চরম হয়রানি করেন। আমি আমীর আলীর অপকর্মের নিন্দা জানিয়ে তার বিরুদ্ধে ন্যায় বিচারের দাবি জানাই।