রাঙামাটি রিজিয়ন কমন্ডার মোঃ সৈয়দ রিয়াদ মেহমুদ
‘পাহাড়ে শান্তি রক্ষায় দুস্কৃতিকারীদের প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে”
প্রকাশঃ ১৭ অক্টোবর, ২০১৮ ০২:০৬:৩৩
| আপডেটঃ ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ০৯:০১:১৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, জুরাছড়ি( রাঙামাটি)। আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে দিকে সকলে সচেষ্ট থাকতে হবে। আমরা সকলে শান্তি চাই-শান্তি পূর্নপরিবেশ রক্ষায় দুস্কৃতিকারীদের প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
বুধবার জুরাছড়ি জোনের “আদর্শ একুশ” প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উপলক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও হেডম্যান-কার্ব্বারীদের সাথে মতবিনীময় কালে রাঙামাটি রিজিয়ন কমন্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সৈয়দ রিয়াদ মেহমুৃদ এফডব্লি, পিএসসি একথা বলেন।
এ সময় জোন অধিনায়ক লেঃকর্ণেল কেএম ওবায়দুল হক পিএসসি, উপজেলা চেয়ারম্যান উদয় জয় চাকমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া পারভীন, ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা, জুরাছড়ি, বনযোগীছড়া, মৈদং ও দুমদুম্যা ইউপি চেয়ারম্যানগণ, স্থানীয় হেডম্যান করুনা ময় চাকমা, সাংবাদিকসহ সেনা বাহিনীর পদস্থ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় রাঙামাটি রিজিয়ন কমন্ডার আরো বলেন, পাহাড়ে অধিকাংশ আঞ্চলিক সংগঠনের আধিপত্য বিষ্টার রয়েছে। তাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের জাতীয় রাজনীতি করার সুযোগ করে দিতে হবে।
জোনের “আদর্শ একুশ” প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বেলা ৩ টায় আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ আয়োজন করে সেনা বাহিনী। বড়ইতলী স্থল থেকে মিস ফায়ারিংয়ের মাধ্যমে নৌকাবাইচ শুরু হয়। প্রতিযোগীতায় রাঙামাটি সদরের বালুখালী ইউনিয়ন, বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়ন এবং জুরাছড়ি উপজেলায় সম্মিলিত ১১টি সুসজ্জিত বাইচের নৌকা প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে।
প্রতিযোগীতায় প্রথম জুরাছড়ির কতর খাইয়া দলকে ১২ হাজার, ২য় রাঙামাটির রাজ মুনি পাড়া দলকে ৯ হাজার ও ৩য় জুরাছড়ির কতর খাইয়া-২ দলকে ৯ হাজার টাকা করে এবং খেলোয়ারদের মেডেল পড়িয়ে দেন রাঙামাটি রিজিয়ন কমন্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সৈয়দ রিয়াদ মেহমুদ ও জোন অধিনায়ক লেঃকর্ণেল কেএম ওবায়দুল হক পিএসসি।
উপজেলায় নৌকাবাইচ উপভোগ করতে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। বনযোগীছড়া জোন সদর দপ্তরে হাজারো মানুষের সমাগমে তৈরী হয়েছে এক সম্প্রীতির মিলন মেলা। এ সময় আগত আমুদে দর্শকরা আনন্দঘন ও উৎসবের মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যবাহী এ বাইচ উপভোগ করেন। এ
দিন বেলা ১২ টা থেকে বড়ইতুলী, বনযোগীছড়া জোন সদর দপ্তর ও কাংড়াছড়িতে দর্শকরা নদীর তীর ও ছোট ছোট বোটে ভেসে জড়ো হতে থাকেন। সবারই উদ্দিশ্য-আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ উপভোগ করা।
উল্লেখ্যে জোনের “আদর্শ একুশ” প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্থানীয় সুধীজনদের সাথে শান্তি, সম্প্রীতি উন্নয়নে মতবিনিময় ও প্রীতি ভোজন অনুষ্ঠিত হয়।