প্রকাশঃ ১৩ মে, ২০২৩ ০৩:২৭:১২
| আপডেটঃ ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৭:৩৩:৩৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন জাতি সত্বার বৈচিত্র্যতা রক্ষা ও ক্ষুুদ্র নৃগোষ্ঠীর হস্ত শিল্পের উন্নতির লক্ষ্যে বান্দরবানে বিভিন্ন ধরনের হস্ত ও কুটির শিল্প পণ্য তৈরি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
দাতা সংস্থা ইউনেস্কো’র সহযোগিতায় ও র্যাপ অফিসিয়ালের আয়োজনে শহরের কালাঘাটা নতুন ব্রিজ সংলগ্ন প্রেসবিটারিয়ান চার্চ ইন বাংলাদেশের সম্মেলন কক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়।
প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মো. সোহেল ইমাম খান। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সিনিয়র প্রোগাম অফিসার মো.তাজউদ্দিন এবং প্রোগাম অফিসার , প্রশাসন ও অর্থ শেখ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম শুভ ।
প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন র্যাপ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা রোকাইয়া আহমেদ পূর্ণা, সহ- প্রতিষ্ঠাতা মো. জোবায়ের হোসেন, র্যাপ এর প্রকল্প সমন্বয়কারী মো.কামরুল ইসলাম মজুমদার, জাহিদুল ইসলাম এবং নাফি-উজ-জামান খান। প্রশিক্ষণে র্যাপ সংগঠনের বান্দরবান প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন জিরসাংকুং বম।
এবারের প্রশিক্ষণে বিশেষ করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক,হস্তশিল্প এবং নারীদের সামাজিক আত্মকর্মসংস্থান উন্নয়নে ফ্যাশন এবং বৈচিত্র্যময় পণ্য তৈরি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাজার সৃষ্টি করা, নৃগোষ্ঠীর সত্তার বৈচিত্র্য রক্ষায় মহিলাদের গহনা,হাতের কারুকাজ, বৈচিত্র্যময় ফ্যাশন আইটেম পুথির মালাসহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণে বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলার ২০জন নারী প্রশিক্ষানার্থী অংশগ্রহন করছে।
প্রশিক্ষনার্থীরা জানান,তাদের কাছে এমন প্রশিক্ষণ একদমই নতুন। তারা কাপড় তৈরি এবং হাতের কিছু কারুকাজ জানলেও তাদের ঐতিহ্যবাহী কাপড় ব্যবহার করে যে পাখা,পুথির মালা, মুখের মাস্ক, মাথার ক্যাপ, ল্যাপটপ ব্যাগসহ আরো অনেক কিছু যে বানানো সম্ভব,তা জানতো না। তাদের ঐতিহ্যবাহী কাপড় ব্যবহার করে এতকিছু বানিয়ে যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিক্রি করা যায় তা সম্বন্ধেও অবগত ছিল না । এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা এইগুলো শিখতে পেরে খুবই আনন্দিত। তারা জানান, এই প্রশিক্ষণ করার পরে তারা তাদের পারিবারকে আর্থিকভাবেও সহযোগিতা করতে পারবে।
এই প্রশিক্ষণ আয়োজন করার জন্য প্রশিক্ষানার্থীরা বাংলাদেশ সরকার, ইউনেস্কো এবং র্যাপ সংগঠনের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানান।