প্রকাশঃ ১৭ মার্চ, ২০২২ ০৫:৫৮:৪৭
| আপডেটঃ ২১ নভেম্বর, ২০২৪ ০২:১৩:৩৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি)। টানা তিনদিনের ছুটিতে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৮ শত ফুট উচ্চতায় অবস্থিত রাঙামাটির ছাদ খ্যাত সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের শতাধিক রিসোর্ট ও কটেজ বুকিং হয়ে গেছে। এতে অগ্রীম বুকিং না দিয়ে সাজেকে বেড়াতে আসা শত শত পর্যটক থাকার রুম না পেয়ে পড়েছেন বিপাকে। অনেকে বাড়তি টাকায় তাবুতে অবস্থান করছেন।
ইউপিডিএফ প্রসিত দলের কোম্পানি কমান্ডার মিলন ওরফে সৌরভ চাকমা নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র সহ আটক হওয়ার পর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর প্রতিবাদে রোববার ইউপিডিএফ সড়ক অবরোধের ডাক দিলেও তা উপেক্ষা করে শত শত গাড়ীতে হাজারো পর্যটক ছুটছেন সাজেকে।
সাজেক অঞ্চলের সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট ৬ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মুনতাসীর রহমান চৌধুরী, পিএসসি জানান, সাজেকে নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নজরধারী রয়েছে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আমরা নিয়মিত টহলের পাশাপাশি দুইবার আনা নেয়ায় নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। কঠোর নিরাপত্তার কারণেই সাজেক পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে।
সাজেক বাঘাইহাট বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সাজেকে মেঘালয় রিসোর্টের মালিক মোহাম্মদ জুয়েল বলেন, টানা ছুটির কারণে গতকাল থেকে আগামী তিনদিন সাজেকের একশত দশটি রিসোর্ট ও কটেজ সম্পুর্ন বুকিং হয়ে গেছে। এখন আর নতুন করে কাউকে রুম দিতে পারছি না তাই অনেকে রুম চেয়েও পাচ্ছেন না।
১৭ মার্চ বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস এবং শুক্রবার, শনিবার সরকারি টানা তিন দিনের ছুটির ফলে সাজেকে পর্যটকদের উপচে পড়া এ ভিড়। সাজেকের রিসোর্ট ও কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং জুমাঘর কটেজের মালিক জেরী লুসাই বলেন, সাজেকে বর্তমানে ধারন ক্ষমতার ৫ গুণ পর্যটক অবস্থান করছে আমরা তাদের রুম দিতে পারছি না তাই অনেক পর্যটক ফিরে গেছেন।
স্থানীয়রা বলছেন সাজেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ, উন্নত খাবার ও পানিয় ব্যবস্থার কারণে সাজেক পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে আর তাই একটু সুযোগ পেলে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন এখানে।
সাজেকে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কংলাক পাহাড়, ঐতিহ্যবাহী লুসাই ভিলেজ, এবং পাহাড়ের ভাজে ভাজে লুকানো সাদা মেঘের মিতালী।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক তানিয়া মিথুন বলেন, আমরা তিনমাস আগে রুম বুকিং দিয়েছি তাই আমরা খুব ভালো উপভোগ করছি। ইমতিয়াজ মাহমুদ নামে আরেক পর্যটক বলেন, সাজেকে দেশের অন্য সকল পর্যটন স্পটের চেয়ে গাড়ী ভাড়া, রিসোর্ট বুকিং, খাবার খরচ অনেক বেশি। সাজেকের জনপ্রিয় রেষ্টুরেন্ট মনটানার মালিক মোহাম্মদ জহির রায়হান বলেন, আমরা বাড়তি পর্যটকদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি, তবে সাধ্যমত চেষ্টা করছি পর্যটকদের সর্বোচ সেবা নিশ্চিত করতে।
সাজেকের হেডম্যান(গ্রাম প্রধান) লালথাংগা লুসাই বলেন সাজেক এখন বাংলাদেশের বৃহত্তর পর্যটন স্পট এখানে প্রতিনিয়ত কোটি টাকার লেনদেন হয় কিন্তু দুঃখের বিষয় সাজেকে কোন ব্যাংক বা ব্যাংকের শাখা নেই ব্যাবসায়ীরা টাকা পয়সা নিয়ে ভয়ে থাকে অনেকে ভিন্ন উপায় অবলম্বন করে ভারতের মিজোরামে নিয়ে যায় । তাই এখানে যেকোন একটি ব্যাংকের শাখা খোলার জোর দাবী করেন।