শনিবার | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

পাহাড়ের সাংবাদিকতায় মকছুদ আহমদের অবদান চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে : দীপংকর তালুকদার এমপি

প্রকাশঃ ২৭ নভেম্বর, ২০২১ ১০:৩৩:১৯ | আপডেটঃ ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:১৫:২৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, রাঙামাটির দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক চারণ সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ পাহাড়ের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার আলোকবর্তিকা হয়ে সমাজের শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রিন্ট মিডিয়ার যুগ থেকে শুরু করে বর্তমানে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগ পর্যন্ত পথ পরিক্রমায় তার এই অবদান ইতিহাসের পাতায় চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে।

শনিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় রাঙামাটি প্রেস ক্লাব সম্মেলন কক্ষে চারণ সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদের সাংবাদিকতা নিয়ে রচিত স্মারক গ্রন্থ পাহাড়ে সংশপ্তক  গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এমপি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। সাংবাদিকতার মাধ্যমে পার্বত্য সমস্যা সমাধানে তিনি কাজ করে গেছেন। পাহাড়ের জনদূর্ভোগ লাঘবে সরকার ও জনগণের মধ্যে সর্ম্পক স্থাপনে মকছুদ আহমেদের অনন্য অবদান রয়েছে। আগামীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের যখন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে ইতিহাস রচিত হবে চারণ সাংবাদিক মকছুদ আহমেদের অবদান সেই ইতিহাসে স্থান পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক এর সঞ্চালনায় প্রকাশনা উৎসবে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদ, রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান, রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ প্রমুখ।

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, পাহাড়ের সাংবাদিকতার অগ্রদূত এ কে এম মকছুদ আহমেদ। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে অনেক সংবাদকর্মী তৈরী হয়েছে ও সংবাদপত্রের বিকাশ ঘটেছে তারই হাত ধরে। তিনি একজন সৎ, হৃদয়বান, পরোপকারী ও মুক্ত বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ। তার কর্মের মাধ্যমে পাহাড়ের মানুষের হৃদয়ে তিনি চিরদিন বেঁচে থাকবেন।

রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে তিনি সাংবাদিকতার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করে তুলেছিলেন। ১৯৭৫ সাল থেকে শান্তিচুক্তি আগ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সমস্যা সংকুল অবস্থা ছিলো তা সমাধানের পথ দেখানোর চেষ্টা করেছেন সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ। দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমে তিনি একটি মেল বন্ধন গড়ে তুলেছিলেন। বিশ্ব দরবারে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

চারণ সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন, পাহাড়ের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার স্মৃতিকথা নিয়ে পাহাড়ে সংশপ্তক গ্রন্থ প্রকাশ হওয়াটা অত্যন্ত আনন্দের। গ্রন্থে নিচের কর্মজীবন, সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্র এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে গল্প, কাহিনী, কবিতা, প্রবন্ধ নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন বিদগ্ধ জনের লেখনিতে প্রকাশিত এই গ্রন্থ পাঠক মহলে ও নতুন প্রজন্মের কাছে একটি তথ্য সমৃদ্ধ গ্রন্থ হিসেবে সমাদৃত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরনেন্দু ত্রিপুরা, বিশিষ্ট সংগীত শিক্ষক মনোজ বাহাদুর, ওলামালীগের সভাপতি ক্বারী মোহাম্মদ ওসমান গণি, লংগদু প্রেস ক্লাবের সভাপতি এখলাস মিঞা খান, প্রতিবন্ধী স্কুলের সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল আবছার, নির্মলেন্দু ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি তাওফিক হোসেন কবির, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজলসহ রাঙামাটি বিভিন্ন পেশাজীবি ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


মিডিয়া |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions