লামায় চিচিংঙ্গার ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি
প্রকাশঃ ১১ জুলাই, ২০১৮ ১১:১৫:১৬
| আপডেটঃ ২২ নভেম্বর, ২০২৪ ০৩:৩৯:৪৮
কৌশিক দাশ, সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবানের লামায় চলতি মৌসুমে চিচিংঙ্গার ভালো ফলন হয়েছে। এই সবজি চাষ করে অনেক চাষি স্বাবলম্বী হয়েছেন। এতে করে চিচিংঙ্গা চাষে আরো আগ্রহী হচ্ছে অনেক কৃষক।
লামা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর লামা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় প্রায় ৯০ হেক্টর জমিতে চিচিংঙ্গা চাষ করা হয়েছে, তবে সবচেয়ে বিশি চিচিংঙ্গা চাষ করা হয়েছে রুপসীপাড়া ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে।
বাঁশের তৈরি মাচার নিচে সারিবদ্ধভাবে ঝুলছে চিচিংঙ্গা। কৃষকরা চিচিংঙ্গা তুলে ঝুঁড়িতে সাজিয়ে বাজারে বিক্রির উপযোগী করে তুলছেন। এছাড়া ফাঁসিয়াখালী ইয়াংছাতে বাজারে উপরে রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে চিচিংঙ্গা বিক্রয় জন্য সাজিয়ে রেখেছে। চকরিয়া ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলছেন, এই বছর অন্যান্য সবজির তুলনায় চিচিংঙ্গা চাহিদা বেশি রয়েছে। ঠান্ডা তরকারি হিসেবে পরিচিত চিচিংঙ্গা লামা পাহাড়ী অঞ্চলে ভালো জন্মে বলে তিনি জানান। তাই তিনি প্রতি সপ্তাহ তিন দিন শুক্রবার, শনিবার ও মঙ্গলবার লামাতে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সবজি কিনতে আসেন। তিনি আরো জানান, লামার উৎপাদিত চিচিঙ্গা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি হচ্ছে।
রুপসীপাড়া ইউনিয়নের অংহ্লাপাড়া কৃষক মো. বক্কর আলী (৩৫) ও আবদুল মজিদ (৩৩) জানান, প্রতি একর জমিতে চিচিঙ্গা চাষ করতে খরচ পড়ে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। এই ফলন বিক্রি করে বাজারদর অনুযায়ী ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা পায় কৃষক। রুপসীপাড়া ইউনিয়নের প্রায় ৮০ একর জমিতে চিচিঙ্গা চাষ হয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিচিঙ্গা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। সব গুলো বিক্রয় হলে প্রায় সাত থেকে আট লাক্ষ টাকা লাভ থাকবে বলে জানিয়েছেন।
ফাঁিসয়াখালী ইউনিয়নের মো.হোসেন জানান, এবার তিনি প্রায় এক একর জমিতে চিচিঙ্গা চাষ করেছেন। এতে তার সর্বসাকুল্যে খরচ হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। তিনি এ পর্যন্ত ৪৫ হাজার টাকার চিচিঙ্গা বিক্রি করেছেন। আরও ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকার চিচিঙ্গা বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মো নূরে আলম জানান, রুপসীপাড়া, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে এবার চিচিঙ্গার বাম্পার ফলন হয়েছে, সবজি হিসাবে এই চিচিঙ্গা মোটামোটি বাজারে দাম ভাল রয়েছে।