রাঙামাটিতে জেলা উন্নয়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
প্রকাশঃ ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৬:২৫:২৪
| আপডেটঃ ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৯:২৭:৩৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা উন্নয়ন কমিটির সমন্বয় সভা বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী ক্য হ্লা খই, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ নীহার রঞ্জন নন্দী’সহ পরিষদের হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তা এবং জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা প্রতিটি উন্নয়ন সভায় উপস্থিত থেকে এ জেলার শান্তি-শৃংখলা ও উন্নয়নে সুপরামর্শ ও মতামত প্রদানের জন্য সকলকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জনকল্যাণের স্বার্থে সরকার আমাদের নিয়োগ দিয়েছেন। তাই নিজ নিজ কর্মস্থলে থেকে আমাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব না করে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করারও পরামর্শ দেন তিনি।
গণপূর্ত বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেন, কাউখালী উপজেলাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবী ফায়ার স্টেশনটি ইতিমধ্যে বুুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ বেড এ উন্নীতকরণের কাজ শুরু হবে।
তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর বলেন, বরকল উপজেলা ব্যতীত বর্তমানে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৩৩/১১ কেভি লাইন বসানোর কাজ চলছে। এখনো যেসব স্থানে ৩৩/১১ কেভি লাইন সচল হয়নি সেখানে পরবর্তীতে কাজ করা হবে।
এলজিইডি সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সহিদ বলেন, কাপ্তাই-আসামবস্তী সড়ক নতুন করে সংস্কারে ৬৫০ কোটি টাকার প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজের জন্য কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হবে।
২০ ইসিবি’র এসজিটি মোঃ রফিক উল্ল্যাহ খান বলেন, ২০ ইসিবি কর্তৃক নির্মিত জেলার নানিয়ারচর উপজেলার ব্রীজটি প্রায় ৫৫ভাগ হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি না কমায় কাজ একটু বিলম্ব হচ্ছে। পানি কমার সাথে সাথে কাজের গতিও বাড়বে।
রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক শান্তনু চাকমা বলেন, বর্তমানে কলেজের একাডেমিক ভবনের ৪তলা পর্যন্ত ছাদ হয়েছে। বাকী কাজগুলো চলমান রয়েছে। এছাড়া কলেজে নিয়মিত পরীক্ষা ও ক্লাস চলছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের প্রতিটি উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণের আওতায় রাঙামাটিতে ১১টি মসজিদ নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি মসজিদ বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মসজিদে সন্ত্রাস, বাল্য বিবাহ রোধে প্রচার প্রচারণা চলছে।
এছাড়া উত্তর, দক্ষিণ বন বিভাগ, ঝুম নিয়ন্ত্রণ, ইউএসএফ ও পাল্পউড বাগান বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাগণ জানান, বর্তমানে স্থানীয় গাছের চারাগুলো রোপন ও চারা কলম করা হচ্ছে। আগামী বৃক্ষ মেলায় চারাগুলো প্রদান করা হবে।
সভায় উপস্থিত অন্যান্য বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ স্ব স্ব বিভাগের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।