বীর বাহাদুরের আন্তরিকতায় বান্দরবানে
সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হচ্ছে পাহাড়ী অঞ্চল
প্রকাশঃ ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৬:৪৪:০১
| আপডেটঃ ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৯:২৭:১২
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বীর বাহাদুরের আন্তরিকতায় বান্দরবানে সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত পাহাড়ী অঞ্চল। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার আওতায় বান্দরবানের ৭টি উপজেলায় গত তিন বছরে ১৪ হাজার ২২৭টি প্রতিষ্ঠানকে সোলার সিস্টেম প্রদান করা হয়েছে। আর এই সোলার পাওয়ার পর থেকেই পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় রাতের অন্ধকার দূর হয়ে এসেছে আলো।
জানা যায়,সরকারের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সৌরবিদ্যুত খাতে গত তিন বছরে উল্লেখযোগ্য হারে বরাদ্দ প্রদান করায় পাহাড়ের গ্রামগুলো এখন আলোকিত হয়ে উঠেছে, এতে পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের জীবনমানেও উন্নতির প্রভাব পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার আওতায় বান্দরবানের ৭টি উপজেলায় গত তিন বছরে ১৪ হাজার ২২৭টি প্রতিষ্ঠানকে সোলার সিস্টেম প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্গম পাহাড়ে বসবাসকারী দরিদ্র মানুষের মাঝে একই সময়ে ৫ হাজার ৭২৩টি পরিবারিক সোলার সিস্টেম বিতরণ করা হয়েছে। একই সময়ে সাত উপজেলার গুরত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ৬৫৬টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, এ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রায় ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
গ্রামীণ পর্যায়ে সৌর প্যানেল বিতরণ করায় এখন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক, কমিউনিটি সেন্টার, গ্রামীণ হাট বাজার এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো সৌর বিদ্যুতের আওতায় এসেছে।পারিবারিকভাবে সোলার সিস্টেম বিতরণের ফলে শিক্ষার্থীরা রাতে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছে এবং গৃহস্থালীর কাজে সহায়ক হয়েছে।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে “বিদ্যুৎ সরবরাহ ” নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের জেলার সাত উপজেলায় ইতোমধ্যে ২ হাজার ৩৬০ জন উপকারভোগীর মাঝে সোলার সিস্টেম বিতরণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়ে ৮৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সুত্রে জানা যায়,তিন পার্বত্য জেলার দুর্গম এলাকায় বিদ্যু লাইন সম্প্রসারণ এবং সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ৫৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের কার্যক্রম ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এতে আগামী ৫ বছরে যে সকল এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব নয়, এমন এলাকার জনগণকে সৌর বিদ্যুতের আওতায় আনা হবে। বিশেষ করে বান্দরবানের রুমা, থানছি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম ও নাইক্ষংছড়ি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি পল্লীতে বসবাসকারী জনগণ অগ্রাধিকার পাবেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইয়াছির আরাফাত জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশল শাখার আওতায় ইতোমধ্যে লামা ও বান্দরবান পৌরসভায় গুরত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় ৪০০টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে, এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় সোলার সিস্টেম প্রদান করা হয়েছে যার সুফল পাচ্ছে সাধারণ জনসাধারন।