সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। সারা দেশের মতো পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতেও সাধারণ বইয়ের পাশাপাশি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা শিক্ষার্থীদের মাঝেও স্ব স্ব মাতৃভাষার বই বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার(০১ জানুয়ারি) সকালে জেলা শহরের বনরুপা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাধারণ বইয়ের পাশাপাশি পাহাড়ি জনগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সীমা চাকমা। এছাড়াও জেলার দশ উপজেলার ৩০ হাজার ৫৩৪ জন চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ে শতভাগ নিজস্ব মাতৃভাষা বই বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
এদিকে, নতুন বছরে নিজেদের মাতৃভাষা বই পেয়ে উচ্ছ্বাসিত পাহাড়ের শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা।
শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা নিজেদের ভাষায় বই পেয়েছে এতে আমরাও অনেক খুশি। কিন্তু স্কুলগুলোতে এখনো ভালো করে পড়ানোর শিক্ষক নাই। নিজেদের মাতৃভাষা শিক্ষার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অবিভাবকরাও অনেকেই আমাদের মাতৃভাষাটা ঠিকমতো বলতে এবং লিখতে পারি না তাই এটা শেখার অবশ্যই প্রয়োজন আছে।
২০১৭ সাল থেকে পার্বত্য এলাকায় চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে নিজস্ব বই বিতরন করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সূত্রে জানা যায়, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জেলার দশ উপজেলায় ৩০ হাজার ৫৩৪ জন চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ৬৯ হাজার ২২১ টি বই বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাক- প্রাথমিকে ৭ হাজার ৬৩৫ জন, প্রথম শ্রেনির ৭ হাজার ৬১০জন, দ্বিতীয় শ্রেনির ৭ হাজার ৯১৬ ও ৩য় শ্রেনির ৭ হাজার ৩৭৩ জন শিক্ষার্থী।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হৃষীকেষ শীল বলেন, পার্বত্য জেলার জন্য মাতৃভাষা যে বইটি সরকার চালু করেছে সেই বইগুলো শতভাগ আমাদের কাছে চলে এসেছে এবং বইগুলো আমরা স্ব স্ব বিদ্যালয়েও পৌঁছে দিয়েছি। আজকে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে শতভাগ বই বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরোও বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের সহায়তায় পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষা শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে স্ব স্ব মাতৃভাষার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু করেছি এবং ইতিমধ্যে প্রায় শেষে দিকে। প্রশিক্ষণটি শেষ হলে আমরা পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের নিজেদের মাতৃভাষার পাঠদানটি শুরু করতে পারবো।