প্রকাশঃ ০১ অগাস্ট, ২০২৪ ০১:১৮:৪৩
| আপডেটঃ ১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ০৮:০২:২৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। দুুই দিনের মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের লামা পৌর এলাকাসহ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে।
লামা উপজেলার মাতামুহুরী নদী, লামাখাল, ইয়াংছা খাল, বগাইছড়িখাল ও পোপা খালসহ বিভিন্ন স্থানের পাহাড়ি ঝিরিগুলোতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। একটানা বৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে সড়কে পানি জমে লামা-আলীকদম সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে অতিবৃষ্টির কারণে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকায় নিম্মাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে আর ঘরবাড়ী ছেড়ে অনেক সাধারণ জনগণ আশেপাশে অবস্থান করছে।
এদিকে বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে সকালে বান্দরবান-থানচি সড়কের জীবন নগর এলাকায় পাহাড়ের মাঠি ধসে সড়কে এসে জমে থাকার কারণে বান্দরবানের সাথে থানচি উপজেলার যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনার পর সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক থেকে ধ্বসে পড়া মাটি অপসারণে কাজ শুরু করছে। বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস এর সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি জানান, সকালে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সেনাবাহিনীর সহায়তায় বান্দরবান-থানচি সড়কের জীবন নগর এলাকায় সড়কের মাটি অপসারণের কাজ করছি, দ্রুত সময়ে সড়ক থেকে মাটি অপসারণ করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে দেয়ার জন্য কাজ চলছে।
অতিবৃষ্টি আর বর্ষণের ফলে জেলায় পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে আর তাই সাধারণ জনগণকে নদী তীরবর্তী স্থান থেকে এবং ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে নিরাপদস্থানে সরে যেতে মাইকিং করছে প্রশাসন।
লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল জানান, কয়েকদিন টানা বৃষ্টি আর ভারী বর্ষণে লামা উপজেলার বিভিন্ন নিম্মাঞ্চলগুলো ডুবে গেছে, এখন লামা মাতামহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চেয়ারম্যান মো.মোস্তফা জামাল আরো জানান, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে লামা উপজেলায় আরো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে এবং ইতিমধ্যে বিভিন্নস্থানে সাধারণ জনগণ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।