রবিবার | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

খাগড়াছড়িতে পানিবন্দী হাজারও পরিবার, পাহাড় ধস

প্রকাশঃ ০২ জুলাই, ২০২৪ ১২:৪৯:০৭ | আপডেটঃ ২২ নভেম্বর, ২০২৪ ০৩:০৪:২৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত জনপদ পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। দুই দিনের টানা বর্ষণে জেলার মাইনী ও চেঙ্গী নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে সাজেক-দীঘিনালা সড়কের মাচালং, বাঘাইহাটসহ কয়েকটি স্থানে সড়ক ও বেইলী ব্রীজ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সাজেক ভ্যালীতে আটকা পড়েছেন ৫ শতাধিক পর্যটক। খাগড়াছড়ি থেকে মঙ্গলবার নতুন করে পর্যটকবাহী কোন পরিবহন ছেড়ে যায়নি।

অন্যদিকে, মাইনী নদীর পানি বেড়ে দীঘিনালা-লংগদু সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়কের মহালছড়ির ২৪ মাইলে সড়কে জলাবদ্ধতা হওয়ায় যান চলাচল সীমিত রয়েছে।

এর আগে, ভোর রাত ৫ টার দিকে খাগড়াছড়ি-ঢাকা ও খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাটিরাঙ্গার সাপমারা এলাকার ২ টি স্থানে পাহাড় ভেঙ্গে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় অর্ধশতাধিক যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহন আটকা পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের খাগড়াছড়ি ও মাটিরাঙ্গার দুইটি ইউনিট ৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

এ দিকে, পাহাড়ী ঢলে খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদীর পানি বেড়ে জেলা সদর ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজারও পরিবার। তলিয়ে গেছে সবজি ও মাছের খামার। সোমবার রাতের প্রবল বর্ষণে জেলা শহরের শালবন, মোহাম্মদপুর ও সবুজবাগে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ হতাহত না হলেও বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম বলেন, গেল রাতে শালবনের ৫ টি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘর বাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হলেও কেউ হতাহত হয়নি। প্রাণহানি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করা মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রমুখী করতে প্রচারণা করা হলেও অনেকে আসতে চাচ্ছে না।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক জাকের হোসেন বলেন, জেলার সবকটি ইউনিট দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। পাহাড় ধসে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি ও মাটিরাঙ্গা ইউনিট ভোর থেকে ৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছে।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, খাগড়াছড়িতে পানিবন্দী ও পাহাড়ের ধসের ঝুঁকিতে থাকা দুর্গত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৯৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।


খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions