বান্দরবান সেনা জোনের উদ্যোগে অসহায় গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ রাঙামাটি জেলা পরিষদ পুর্নগঠনের দাবিতে রাঙামাটি মানববন্ধন বান্দরবানের সেনা অভিযানে ৩ কেএনএ সদস্য নিহত অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার বান্দরবানে ভিক্ষুকদের মাঝে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ রাঙামাটির লোকনাথ ব্রহ্মচারী যোগাশ্রম’র কমিটি গঠন নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত এক পাড়াগাঁয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে কবিতা আবৃত্তির আসর। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম নয়মাইল ত্রিপুরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে হিরন্ময় স্মৃতি পাঠাগার
কক্ষে ব্যতিক্রমী এই আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।
আবৃত্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি লেখক ও গবেষক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, সহ-সভাপতি লেখক ও সাংবাদিক প্রদীপ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক লেখক ও আবৃত্তিকার চিংলা মং চৌধুরী, নয়মাইল ত্রিপুরাপাড়া জুনিয়র হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক সূর্যব্রত ত্রিপুরা, বর্তমান প্রধান শিক্ষক তপু ত্রিপুরা, দৈনিক
ভোরের কাগজ’র
জেলা প্রতিনিধি
শঙ্কর চৌধুরী,
শিক্ষানুরাগী বক্তিত্ব কানকানন্দ
ত্রিপুরা, বিদ্যালয়ের
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অঞ্জলি ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে
ত্রিপুরা (ককবরক) ভাষায় অনামিকা ত্রিপুরার লেখা ‘মাচালাং’ কবিতা পাঠ করেন, অত্র বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা ত্রিপুরা। এর পর
পর স্বরচিত কবিতা ‘জম্মেছি যে গ্রামে’ কবিতা আবৃত্তি করেন ডায়াং ত্রিপুরা, ধন্য মুজিব ও বঙ্গবন্ধু কবিতা আবৃত্তি করেন, সপ্তম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী উপন জয় ত্রিপুরা ও রুমিতা ত্রিপুরা। আর শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণে হে বাঙালি জাতির অগ্রদূত, জ্বলছে রক্তজবা ও ককবরক নিজেদের মাতৃভাষায় স্বরচিত ‘আনি ই আমা কবিতা’ আবৃত্তি করে অতিথিদের মন জয় করে নিয়েছে, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিলেন ত্রিপুরা, দশম শ্রেণির মৃনাল কান্তি ত্রিপুরা ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাচাংতি ত্রিপুরা।
ক্ষুদে আবৃত্তিকারদের মাঝে কবিতা আবৃত্তি করে আসরকে প্রাণবন্ত করে তোলেন লেখক ও গবেষক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, আবৃত্তিকার চিংলা মং চৌধুরী ও প্রধান শিক্ষক তপু ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠানে সমাপনী
বক্তব্যে বক্তারা
ক্ষুদে আবৃত্তিকারদের বাংলা
ও ককবরক ভাষায় স্বরচিত কবিতার
ছন্দ-গাঁথুনি
এবং শুদ্ধ উচ্চারণ দেখে সন্তোষ
প্রকাশ করেন।
স্কুলের শিক্ষার্থীদের এই সৃজনশীল উপস্থাপনা খুবই প্রশংসাযোগ্য।