ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে রাঙামাটিতে তৌহিদী মুসলিম জনতার বিক্ষোভ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: -ধর্ম উপদেষ্টা রাঙামাটিতে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিষ্ট্যান্স সচেতনামূলক সপ্তাহ পালন বান্দরবানের ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালককে অপসারণের দাবি রাঙামাটিতে ২ দিনের আয়কর মেলার উদ্বোধন
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী বলেছেন, পাহাড়ে বন বাঁচাতে মৌজাবন ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। মৌজার সকল মানুষের মতামতের ভিত্তিতে এবং অংশীদারিত্ব নিশ্চিত মৌজাবনের সংখ্যা ও ভূমির পরিমাণ বাড়ানো গেলে ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক বনকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এজন্য তিনি বন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জেলা প্রশাসন- মং সার্কেল চীফসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
তিনি মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়িতে আর্ন্তজাতিক
বন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত
এক আলোচনা সভায় প্রধান
অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
‘সুস্থ শরীর সুস্থ মন,
যদি থাকে সমৃদ্ধ বন’
এই শ্লোগানে খাগড়াছড়িতে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক
বন দিবস। দিবসটি
উপলক্ষে স্থানীয় এনজিও ‘তৃণমূল’ ও
‘খাগড়াছড়ি বন বিভাগ’র
যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি
মারমা কল্যাণ সংসদের হলরুমে
আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা
প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)
মুনতাসির জাহান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা
পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, সমতলের
তুলনায় পাহাড়ে এখনো বন
সংরক্ষণ ও বন বাঁচানো-বাড়ানোর অনেক বেশি সুযোগ
রয়েছে। প্রাকৃতিক
বন হারিয়ে যাবার কারণে
শুষ্ক মৌসুমে শহরের আশপাশেও
নিত্য প্রয়োজনীয় পানীয় জলের সঙ্কট
দেখা দিচ্ছে। পরিবেশকে
রক্ষা করতে হলে বনকে
রক্ষা করতে হবে।
একসময় পাহাড়ে বিশাল বন
ছিলো, এখন আর নেই। তিনি
বন রক্ষার জন্য সকলকে
এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
উন্নয়নকর্মী মিজির ত্রিপুরা’র
সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি
ছিলেন খাগড়াছড়ি বন বিভাগের বিভাগীয়
বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির,
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিনিয়া
চাকমা, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা’র নির্বাহী পরিচালক
রিপন চাকমা এবং ইউএনডিপি'
র জেলার জীবিকায়ন মাঠ
সংগঠক উচিমং চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের আগে একটি শোভাযাত্রা
করা হয়।