জুরাছড়ি ভিসিএফ কমুনিটিজ সুফলভোগীদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান
নিরীহ মানুষের উপর শাসন শোষণ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়: বৃষ কেতু চাকমা
প্রকাশঃ ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০৭:৩৮:২০
| আপডেটঃ ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৯:২৯:০৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। তিনি বলেন, পাহাড়ের নিরীহ মানুষের উপর শাসন শোষণ করে কখনোই শান্তি ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার পাহাড়ের মানুষের প্রতি খুবই আন্তরিক বলেই পাহাড়ের উন্নয়নে হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে উন্নয়ন করে যাচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে এগিয়ে আসারও আহবান জানান তিনি।
সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলায় পাহাড়ের পশ্চাদপদ এলাকায় বসবাসরত মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও গ্রামীণ সাধারণ বন রক্ষার্থে এসআইডি-সিএইচটি-ইউএনডিপি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর প্রকল্পের আওতায় ভিলেজ কমন ফরেস্ট (ভিসিএফ) কমুনিটিজ এর সুফলভোগীদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা একথা বলেন।
জুরাছড়ি উপজেলায় অবস্থিত জেলা পরিষদ রেষ্ট হাউজ হল রুমে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উদয় জয় চাকমা, জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রবর্তক চাকমা, জুরাছড়ি বনযোগী ছড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুরেশ কান্তি চাকমা, মৈদং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাধনানন্দ চাকমা, দুমদুম্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শান্তি রাজ চাকমা, জুরাছড়ি বনযোগী ছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সন্তোষ চাকমা, জুরাছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহামুদুল কবির, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি চারু বিকাশ চাকমাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি জেলা ব্যবস্থাপক ঐশ্বর্য চাকমা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরো বলেন, পাহাড়ের বন উজাড় হওয়ার ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো ভয়াবহ ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে গত বছর ভূমিধসে ১২০জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ঘটনার পরও মানুষের মাঝে চেতনা তৈরী হচ্ছে না। তিনি বলেন, মানুষ সচেতন না হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। বর্ষাকালে বৃষ্টি হবে না, শীতকালে গরম পড়বে, গরমকালে শীত পড়বে। এর প্রভাব থেকে বাঁচতে হলে আমাদেরকে বেশী বেশী বন সৃষ্টি করতে হবে। প্রাকৃতিক বন সৃষ্টি করা গেলে আমাদের ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ আবারো প্রাকৃতিক বনসম্পদে ভরে উঠবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে জুরাছড়ি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ বটতলী পাড়া, ঘিলাতলী পাড়া ও কাঠালতলী গ্রামের মোট ২৫৫টি পরিবারকে নগদ ৭হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
প্রকল্পের এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ০২ আগষ্ট লংগদু উপজেলার ২৯৫ পরিবার, ০৪আগষ্ট সদর উপজেলার ৩৫১টি পরিবার, ৫আগষ্ট কাপ্তাই উপজেলার ১৭৬টি পরিবার, ৮আগষ্ট বরকল উপজেলার ৩১৮টি পরিবার এবং ৯ আগস্ট বিলাইছড়ি উপজেলার ১১৮ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।