বুধবার | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

নতুন পাঠ্য পুস্তকের চাহিদার বিপরীতে মিলেছে মাত্র ৩৮ শতাংশ

প্রকাশঃ ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৭:০৭:২৫ | আপডেটঃ ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:৫৪:১৪

সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে চাহিদার মাত্র ৩৮ শতাংশ পাঠ্য বই পাওয়া গেছে। আর দুই দিন পর নতুন বছরের পাঠ্যক্রম শুরু হলেও এখনও প্রথম দ্বিতীয় শ্রেণীর কোন বিষয়ে পাঠ্য বই পাওয়া যায়নি। একই অবস্থা প্রাথমিকের ইংরেজি ভার্সনে। 

 

জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, খাগড়াছড়ির উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৩ টি। বেসরকারি ইংরেজি ভার্সনের বিদ্যালয় ৯০ টি। প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যপুস্তকের লক্ষ্যমাত্রা লাখ ৫৭ হাজার ৯২ পিস। লক্ষ্যমাত্রা চাহিদার বিপরীতে পাঠ্যপুস্তক এসেছে লাখ ৭৪ হাজার ৫৯ পিস। যা শতকরা হারে ৩৮ শতাংশ। প্রথম দ্বিতীয় শ্রেণীর কোন বিষয়ে পাঠ্যপুস্তক পাওয়া যায়নি। তবে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীদের মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রমের প্রাক প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক শিক্ষা উপকরণ শতভাগ পাওয়া গেছে। 

 

খাগড়াছড়ি সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলোয়ারা বেগম জানান, শিক্ষার্থীদের অনুপাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক এখনও সব পাওয়া যায়নি। শিক্ষা অফিস থেকে যে দিয়েছে তা পহেলা জানুয়ারী থেকে বিতরণ শুরু হবে। 

 

পানখাইয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুনু মারমা জানান, এই বিদ্যালয়ে প্রথম দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর হওয়ায় যে পাঠ্যপুস্তক পাওয়া গেছে তা দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম চালাতে সমস্যা হবে না। অন্যান্য শ্রেণীর যা পাওয়া গেছে তা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করে শ্রেণী কার্যক্রম শুরু করা যাবে। 

 

পাঠ্যপুস্তক সংকটের বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিন জানান, কাগজের সংকটের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে মুদ্রণ না হওয়ায় সব শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক এখনও পাওয়া যায়নি। আশা করা হচ্ছে জানুয়ারীর মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সংকট কেটে যাবে। 

 

একই অবস্থা মাধ্যমিকের ষষ্ঠ, সপ্তম নবম শ্রেণীতে। সপ্তম নবম-দশম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক আংশিক আসলেও ষষ্ঠ শ্রেণীর কোন পাঠ্যপুস্তক পাওয়া যায়নি

 

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions