কাউখালী প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ থেকে মো.ওমর ফারুককে বহিষ্কার পাহাড়ের কৃতি খেলোয়ার ঋতুপর্ণা চাকমাকে কে সংবর্ধনা দিলো কাউখালী বিএনপি বান্দরবানে শীতার্থদের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে শীতবস্ত্র দিলো আশা খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অগ্নিদগ্ধ রোগীর আত্মহত্যা চাকরী পুনঃবহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবীতে বিডিআর সদস্য-পরিবারের মানববন্ধন
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলাস্থ ঐতিহাসিক শান্তিপুর অরণ্য কুটিরে ১৬তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নর-নারীরা দেশ জাতি তথা সকলের হিতসুখ মঙ্গল কামনায় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নিকট থেকে পঞ্চশীল গ্রহণের পর হাজার হাজার বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নিকট বুদ্ধ মুর্তি দান, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান, কল্পতরু দান, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ড দানসহ নানাবিধ দান, স্বধর্ম দেশনা ও শ্রবণ করেন। এছাড়াও গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা থেকে তৈরি করা কঠিন চীবরটি বিকেলে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে দান করেন।
অনুষ্ঠানে অরণ্য কুটিরের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ শাসন রক্ষিত মহাস্থবির উপস্থিত দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশ্যে দেয়া দেশনায় নিজের দেশ-জাতিকে সবার উর্দ্ধে রেখে আন্ত: সম্প্রদায় শান্তি সুরক্ষা এবং দেশ ও পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল মানুষের সমৃদ্ধি কামনার ওপর গুরত্ব আরেপ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ‘শান্তিপুর অরণ্যকুটির উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা.এমপি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, চেয়ারম্যানের সহ-ধর্মিনী কুহেলি ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শতরুপা চাকমা, বান্দরবান জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন চাকমা, পানছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার দেব, বাংলাদেশ কৃষকলীগ'র কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক নিউ নিউ রাখাইন, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ, শান্তিপুর অরণ্য কুটিরের উন্নয়ন কমিটির সহ-সভাপতি অসেতু চাকমা, উল্টাছড়ি ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত চাকমা এবং পানছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি জয়নাথ দেব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটির]র দেশনা প্রাঙ্গণের জন্য ইলেক্ট্রিক ফ্যান প্রদান এবং বিহার উন্নয়নে দুই লক্ষ টাকার অনুদান ঘোষণা করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা অংশ গ্রহণ করেন।