কাউখালী প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ থেকে মো.ওমর ফারুককে বহিষ্কার পাহাড়ের কৃতি খেলোয়ার ঋতুপর্ণা চাকমাকে কে সংবর্ধনা দিলো কাউখালী বিএনপি বান্দরবানে শীতার্থদের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে শীতবস্ত্র দিলো আশা খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অগ্নিদগ্ধ রোগীর আত্মহত্যা চাকরী পুনঃবহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবীতে বিডিআর সদস্য-পরিবারের মানববন্ধন
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি জেলা শহরের ওপর দিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি সাজেক যেতে হয়। সেই সুবাদে খাগড়াছড়ির আকর্ষণীয় স্থানগুলো পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা হয়েছিল। খাগড়াছড়ি জেলা শহরের পাশে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, জেলা পরিষদ পার্ক, রিসাং ঝর্ণা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান। এই স্থানগুলো পর্যটকরা ঘুরে ফিরে নির্মল বাতাস গ্রহন, প্রাকৃতি সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে প্রাকৃতিক গুহা ও জেলা পরিষদ পার্কে ঝুলন্ত সেতু পর্যটকদের আনন্দ দেয়। কিন্তু এই দুটি স্থানে শিশুদের জন্য আনন্দদায়ক, অংশগ্রহন মুলক ও নিরাপদ পরিবেশে খেলাধূলার কোন সুযোগ নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে- এই দুইটি বিনোদন কেন্দ্রে তিনটি করে ছয়টি দোলনা রয়েছে। আর এগুলো অধিকাংশ সময় বড়দের দখলে থাকে। এছাড়া শিশুদের জন্য আলাদা কোন জায়গা রাখা হয়নি, যেখানে শিশুরা নিরাপদে, নির্ভয়ে, খেলাধূলা করতে পারে, কোন রাইডে চড়তে পারে। জেলা পরিষদ পার্কে শিশুদের আনন্দ দেওয়ার জন্য একটি মনোরেল থাকলেও সেটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো পড়ে আছে। শিশুদের কিছু খেলার সরঞ্জাম নিয়ে আসা হলেও সেগুলো এখনো স্থাপন করা হয়নি। আর আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে সম্প্রতি অনেক উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে, সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছে। কিন্তু শিশুদের জন্য কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ পার্কের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে চাইলে, তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।
ঘুরতে আসা পর্যটকরা জানান, সাত বছরের বেশী শিশুদের জন্য ৪০ টাকার টিকেট ক্রয় করতে হচ্ছে। অথচ তাদের জন্য বিনোদনের কোন ব্যবস্থিই নেই। শিশুদের নিয়ে যারা ঘুরতে আসে তারা আনন্দের চেয়ে শিশুদের জন্য উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে থাকতে হয় বেশী।
জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা উষানু চৌধুরী বলেন, একটি শিশু বিকাশের ক্ষেত্রে নিরাপদ, নির্মল আনন্দময় পরিবেশে ও অংশগ্রহন মুলক খেলাধূলায় অংশগ্রহন করার সুযোগ পেলে, সেই শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ, বুদ্ধিদীপ্ত ও প্রতিভাবান হয়ে উঠবে।