বৃহস্পতিবার | ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

সংঘাতে ৭’শর বেশি মানুষের প্রাণ গেছে: কিন্তু জেএসএস-ইউপিডিএফ বুঝছে না

প্রকাশঃ ৩১ অগাস্ট, ২০২২ ০১:৫২:৪৭ | আপডেটঃ ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ০৭:০৭:০৯

বিশেষ প্রতিনিধি, সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ঐক্যের দাবি জানিয়েসর্বস্তরের জনগণ, দীঘিনালাব্যানারে এক আলোচনা সভার সভাপতি চন্দ্র রঞ্জন চাকমা বলেছেন, সংঘাতের কারণে প্রায় ৭০০ অধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ভাইযে ভাইয়ে সংঘাত হলে যে জাতি ধ্বংস হবে সেটা কি সন্তু লারমার জেএসএস ইউপিডিএফ নেতৃত্ব বুঝে না? তাঁরা কি চিনে না আসল শত্রু  কে? না চিনলে ভবিষ্যতে সংঘাত আরো বাড়বে। তিনি পাহাড়ে চলমান সংঘাত বন্ধে সরকারেরও সুনজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন

বুধবার (৩১ আগস্ট ২০২২) সকাল ১০টার সময় বাবুছড়া এলাকায়ঐক্যে উত্থান, বিভেদে পতনশ্লোগানে অনুষ্ঠিত এই সভা থেকে অতিদ্রুত সংঘাত বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে

যুব নেতা জ্ঞান চাকমা সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বাবুছড়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার (কার্বারি) জ্ঞান মুনি চাকমা বলেনআমরা দীর্ঘ ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের কারণে অনেক ভাইকে হারিয়েছি, আর হারাতে চাই না সংঘাতের কারণে আমরা বাবুছড়ার সুযোগ্য সন্তান অনিমেষ চাকমাকে হারিয়েছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে আর সংঘাত দেখতে চাই না

তিনি সন্তু লারমার জেএসএস ইউপিডিএফ উভয় দলকে অতিদ্রুত ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ করার আহ্বান জানান।

দীঘিনালা ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত প্রতিরোধ কমিটির সদস্য এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি অরুণ বিকাশ চাকমা বলেন, জনগণ কোনদিনই সংঘাত চায় না। গত কয়েক বছর যাবত পাহাড়ের প্রধান দলের সংঘাত বন্ধ থাকায় সাধারণ জনগণ কতো খুশিতে বসবাস করেছে। কিন্তু এই দুই দলের মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ায় জনগণের মধ্যে আবারো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

তিনি বলেন, আমরা যারা সমাজের দায়িত্ব পালন করে থাকি, চিন্তা করি তারা মনে করি এই সংঘাত বন্ধ না হলে জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। কাজেই অতি শীঘ্রই সংঘাত বন্ধ করার জন্য তিনি জেএসএস ইউপিডিএফ প্রতি অনুরোধ করেন

বাবুছড়া ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার প্রতিভা চাকমা বলেন, আমরা নারীরা আর স্বামী হারাতে চাই না, ভাই হারাতে চাই না। অনেক পাহাড়ি নারী ভাইয়ে ভাইয়ে সংঘাতের কারণে স্বামীহারা হয়ে জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। পাহাড়ে নারীরা এমনিতেই অনেক কষ্টে জীবনযাপন করে সংসার পরিচালনা করে। স্বামী হারালে আরো বেশি কষ্ট পেতে হয়। তিনি বলেন, ভাইয়ে ভাইয়ে যাতে সংঘাত না হয় সেজন্য সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং সংঘাত বন্ধের জন্য এগিয়ে আসতে হবে

প্রাক্তন শিক্ষক বাবু পূর্ণজ্যোতি চাকমা বলেন, আসলে উভয়পক্ষ যদি সংঘাত বন্ধের জন্য আন্তরিক না হয় তাহলে এক পক্ষ সংঘাত বন্ধ চাইলেও এটা বন্ধ হবে না। এজন্য সকল পক্ষকে সহশীলতা প্রদর্শন করে সংঘাত বন্ধের জন্য আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে

 

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions