কাউখালী প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ থেকে মো.ওমর ফারুককে বহিষ্কার পাহাড়ের কৃতি খেলোয়ার ঋতুপর্ণা চাকমাকে কে সংবর্ধনা দিলো কাউখালী বিএনপি বান্দরবানে শীতার্থদের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে শীতবস্ত্র দিলো আশা খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অগ্নিদগ্ধ রোগীর আত্মহত্যা চাকরী পুনঃবহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবীতে বিডিআর সদস্য-পরিবারের মানববন্ধন
সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের পথ পরিহার করে আন্দোলনে সামিল হবার জন্য জেএসএস’র প্রধান সন্তু লারমার প্রতি আহ্বান জানিয়ে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার পৃথক দুই স্থানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে পানছড়ি ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত প্রতিরোধ কমিটি।
আজ শনিবার (৩০ জুলাই ২০২২) সকালে উপজেলার চেঙ্গী ইউনিয়নের মনিপুর এলাকায় ও লোগাং ইউনিয়নের বাবুড়ো পাড়া এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে ২০১৮ সালে জেএসএস-ইউপিডিএফ’র মধ্যেকার হওয়া সমঝোতা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
সকাল ১০টায় ২নং চেঙ্গী ইউনিয়নের মনিপুর এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে পানছড়ি ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব কালাচাঁদ চাকমার সভাপতিত্বে ও কমিটির সদস্য সঞ্জয় চাকমার সঞ্চালনায় ও বক্তব্য রাখেন ২নং চেঙ্গী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনন্দ জয় চাকমা, ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত প্রতিরোধ কমিটি সদস্য অনিল চন্দ্র চাকমা ও ৪নং লতিবান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ভূমিধর রোয়াজা। আর এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বরুন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পরিণীতা চাকমা ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্রগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পানছড়ি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সুনীল ময় চাকমা।
অপরদিকে, বাবুড়ো পাড়া এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ভ্রাতিঘাতি সংঘাত প্রতিরোধ কমিটি আহ্বায়ক ও পানছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান শান্তিজীবন চাকমার সভাপতিত্বে ও ১নং লোগাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয় কুমার চাকমার সঞ্চালনায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মানেক পুদি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম পানছড়ি উপজেলা সভাপতি এস মঙ্গল চাকমা প্রমুখ।
মানববন্ধনে শান্তি জীবন চাকমা ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের আহ্বানে একটি স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। এতে তিনি সকল ভেদাভেদ ও হানাহানি ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের নামার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ না হলে পাহাড়ি জনগণের ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ হবে না। দীর্ঘ সময় ধরে চলা ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতে জাতির যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনভাবেই পূরণ সম্ভব নয়। তাই সকলকে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। তিনি ইতিপূর্বে ইউপিডিএফ-জেএসএস’র মধ্যেকার হওয়া সমঝোতা মেনে সংঘাত পরিহারের আহ্বান জানান।
বক্তারা একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে জেএসএস নতুন করে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত শুরু করেছে উল্লেখ করে বলেন, ইউপিডিএফ’র পক্ষ থেকে বার বার সংঘাত বন্ধের আহ্বান ও চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়ার পরও জেএসএস ইউপিডিএফের সাথে হওয়া সমঝোতা লঙ্ঘন করে সংঘাতমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যা কারোই কাম্য নয়। তারা বলেন, জনগণ আর ভাইয়ে ভাইয়ে সংঘাত, হানাহানি দেখতে চায় না, ঐক্যবদ্ধভাবে অধিকার আদায়ের আন্দোলন দেখতে চায়।