কাউখালী প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ থেকে মো.ওমর ফারুককে বহিষ্কার পাহাড়ের কৃতি খেলোয়ার ঋতুপর্ণা চাকমাকে কে সংবর্ধনা দিলো কাউখালী বিএনপি বান্দরবানে শীতার্থদের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে শীতবস্ত্র দিলো আশা খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অগ্নিদগ্ধ রোগীর আত্মহত্যা চাকরী পুনঃবহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবীতে বিডিআর সদস্য-পরিবারের মানববন্ধন
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। পার্বত্য নারীদের উত্তরাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বৃহষ্পতিবার (২৮ জুলাই ২০২২) সকাল ১১টায় খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘উইমেন রিসোর্স নেটওয়ার্ক’ এর ১১তম পার্বত্য নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন মং রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন, পুনর্বাসন ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স (সংক্ষেপে শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স) এর চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়। এতে সভাপতিত্ব করেন উইমেন রিসোর্স নেটওয়ার্কে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এ্যাড. সুম্মিতা চাকমা।
সম্মেলনের প্রধন বক্তা রাজ দেবাশিষ রায় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। এইসব জাতিগোষ্ঠীগুলোর স্ব স্ব প্রথাগত পারিবারিক আইন রয়েছে। এই আইন সমুহ স্ব স্ব জাতিগোষ্ঠীর প্রথাগত নেতৃত্ব দ্বারা নির্ধারণ ও পরিচালিত হয়ে থাকে। তাদের নির্দেশিত আইন কিন্তু সরকার কোনভাবেই হস্তক্ষেপ করে না। সে জন্য সরকারকে তিনি ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন, প্রথাগত পারিবারিক আইনের পরিবর্তন করা শুধু রাজাদের পক্ষে সম্ভব নয়। রাজারা বর্তমানে রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত মাত্র। আইন পরিবর্তন করতে হলে জনগণের সমর্থন প্রয়োজন। জনগণের সমর্থন নিয়েই রাজারা আইন পরিবর্তনে সহায়তা করতে পারে।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে শেফালিকা ত্রিপুরা বলেন, পাহাড়ের নারীরা প্রথাগত আইনে উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তির মালিক হতে পারে না। যদিও এর ব্যতিক্রম নেই তা নয়। তবে এর সংখ্যা খুবই কম। প্রথাগত আইনে নারীদের উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তির মালিকানা বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য তিনি চাকমা সার্কেল ও মং সার্কেলের রাজাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সম্মেলনের ধারণাপত্র পাঠ করেন খাগড়াছড়ি জেলা নারী নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী চিংমেপ্রু মারমা। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম তিনটি সার্কেলের বিভক্ত। চাকমা, মং ও বোমাং সার্কেল। এই তিন সার্কেলে তিন জন সার্কেল চীফ রয়েছেন। তাদেরকে বলা হচ্ছে রাজা। নারী উত্তরাধিকার বিষয়ে বোমাং সার্কেলে নারীরা ২৫% সম্পত্তির মালিকানা পেয়ে থাকেন। কিন্তু চাকমা ও মং সার্কেলে নারীরা কিছুই পায় না। নারীর অধিকার একটি মানবাধিকার। তাই নারীদের সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, জেল প্রশাসকের প্রতিনিধি কাজী আলীম উল্লাহ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রতিনিধি শতরূপা চাকমা, বোমাং সার্কেলের হেডম্যান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টিমং প্রু মারমা, হেডম্যান জয় ত্রিপুরা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে তিন পার্বত্য জেলা থেকে নারী প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নেন। সম্মেলন দিন ব্যাপী চলবে।