কাউখালী প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ থেকে মো.ওমর ফারুককে বহিষ্কার পাহাড়ের কৃতি খেলোয়ার ঋতুপর্ণা চাকমাকে কে সংবর্ধনা দিলো কাউখালী বিএনপি বান্দরবানে শীতার্থদের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে শীতবস্ত্র দিলো আশা খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অগ্নিদগ্ধ রোগীর আত্মহত্যা চাকরী পুনঃবহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবীতে বিডিআর সদস্য-পরিবারের মানববন্ধন
সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক অংগ্য মারমা দীঘিনালা উপজেলাধীন বাবুছড়ায় এক অতর্কিত সশস্ত্র হামলায় জীবন ত্রিপুরা নামে এক ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যার অভিযোগ এনেছেন সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন মুল জেএসএসের বিরুদ্ধে। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে খুনের রাজনীতি বন্ধের জন্য সন্তু লারমার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার ১২ জুলাই ২০২২ সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আরও বলেন, ‘আজ সকাল ৯টার দিকে ইউপিডিএফের দীঘিনালা ইউনিটের সংগঠক জীবন ত্রিপুরা সাংগঠনিক কাজে বাবুছড়া যাচ্ছিলেন। এ সময় ধনপাদা নামক এলাকায় ওঁৎ পেতে থাকা জেএসএসের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে তিনি ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান।’
সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সদস্য ডা: জ্ঞান, পাভেল, বরুণ ও রমেশের নেতৃত্বে উক্ত সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে অংগ্য মারমা বিবৃতিতে উল্লেখ করেন এবং বলেন ‘নিহত জীবন ত্রিপুরার (২২) বাড়ি রাজস্থলীর বটতলি গ্রামে এবং তিনি দীঘিনালায় একজন সাধারণ সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।’
ইউপিডিএফ নেতা অংগ্য মারমা সন্তু লারমা ও জেএসএসকে অবিলম্বে ভ্রাতৃ-হত্যার রাজনীতি বন্ধ করে ২০১৮ সালে দুই পার্টির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত সমঝোতার শর্ত মেনে চলার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত:২০১৮ সনের আগে মুল জেএসএস ও মুল ইউপিডিএফের মধ্যে গোপন সমঝোতা হয়েছিলো, কেউ কাকে মারবে না, যার যার এলাকায় সে সে নিয়ন্ত্রণ করবে। পাশাপাশি সংস্কারপন্থীদের দমন করার কথাও ছিলো,কিন্তু আজকের এই ঘটনায় তাদের মধ্যে ফাটলের বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত হলো।