চট্টগ্রামে আইনজীবি হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে আইনজীবিদের মানববন্ধন নাশকতার মামলায় নাইক্ষ্যংছড়ির দুই ইউপি চেয়ারম্যান জেল হাজতে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে লংগদুতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত বান্দরবানে আওয়ামী লীগের ৪৮ নেতাকর্মীর জামিন লংগদু-দীঘিনালার মনের মানুষ এলাকায় আগুনে বসতঘরসহ পুড়ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
সিএইচটি টুডে ডট কম, মহালছড়ি (খাগড়াছড়ি)। খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি
সদরের রামেসু পাড়ায় অবস্থিত শ্মশান ঘাটে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। রামেসু
পাড়া, বাবুপাড়া, মাষ্টার পাড়া সহ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য এই শ্মশান ঘাটটি
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উক্ত এলাকার পাহাড়িদের কেউ মারা গেলে রীতি অনুযায়ী এই শ্মশান ঘাটে
মৃত দেহ নিয়ে গিয়ে মৃত দেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করে স্বজনরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উক্ত শ্মশান ঘাটে যাওয়ার
একমাত্র রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। মহালছড়ি
বাস-স্টেশন সংলগ্ন পুকুর পাড় থেকে শ্মশান ঘাট পর্যন্ত ১ কিলোমিটার এই রাস্তাটির
বেশির ভাগ অংশে গর্ত ও কাচা রাস্তা, এছাড়া রাস্তাটিও খুবই সংকীর্ণ। শ্মশান ঘাট
পর্যন্ত মোটরসাইকেল, সিএনজি নিয়ে যাওয়া তো দুরের কথা, হেটে যাওয়াটাই কষ্টকর হয়ে
পরেছে রামেসু পাড়া বাসী সহ অন্যান্য এলাকার বাসীন্দাদের। বর্ষাকাল আসলে আরো বেশি
চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে রাস্তাটি। একটু বেশি বৃষ্টি হলে রাস্তাটির একটি অংশ
পানির নিচে ডুবে থাকে কয়েক মাস। এত দূর্ভোগের মধ্যেও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য
শ্মশান ঘাটে মৃত দেহ নিয়ে যেতে হয় স্বজনদের।
রামেসু পাড়া গ্রামের কার্বারী থৈইমং মারমা বলেন রাস্তাটি খুবই ছোট ও রাস্তার বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বর্ষাকাল আসলে রাস্তাটির একাংশ ডুবে যায়, যার ফলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রামেসু পাড়া বাসী সহ বিভিন্ন এলাকার বাসীন্দাদের। রাস্তাটি সংষ্কারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করা হয়েছিলো, কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তিনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট রাস্তাটি দ্রুত সংষ্কারের আবেদন জানান।
রামেসু পাড়া গ্রামের আরেক বাসিন্দা নিউটন চাকমা বলেন, কোন একটা প্রজেক্টের মাধ্যমে মহালছড়ি বাস স্টেশন থেকে পুকুর পাড় পর্যন্ত ইট সুলিং করে দেওয়া হয়েছিলো নিম্ম মানের ইট দিয়ে, পুকুর পাড়ের রাস্তার এক দিকে ধারক ওয়াল করে দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। শুধু বেইস ডালাই করে রড বের করে রাখা হয়েছে।
রাস্তাটি সম্পর্কে বাবুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ত্রিপন চাকমা বলেন, মহালছড়ি বাস স্টেশন থেকে শ্মশান ঘাট পর্যন্ত এই রাস্তাটি খুবই গুরত্বপূর্ণ, ৪/৫ গ্রামের বাসীন্দাদের শ্মশান ঘাটে যাওয়ার একটি মাত্র রাস্তা এটি। এই শ্মশান ঘাটে যাওয়ার রাস্তার বেহাল অবস্থার ফলে, শ্মশানে মৃত দেহ নিয়ে যেতে অনেক বছর যাবত দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের। গাড়িতে করে মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া তো দুরের কথা হেটেও যাওয়া যায় না, এমন অবস্থা রাস্তার। তিনিও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট মহালছড়ি বাস স্টেশন থেকে শ্মশান ঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি দ্রুত সংষ্কারের আবেদন জানান।