খাগড়াছড়িতে বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে আধাবেলা সড়ক অবরোধ পালিত
প্রকাশঃ ২১ মার্চ, ২০২২ ১২:৪৪:৫৬
| আপডেটঃ ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ০৩:০৮:০৪
সিএইচটি টুডে ডট কম,খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়িতে গত মঙ্গলবার অভিযানে আটক ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ) প্রসীত গ্রুপের সংগঠক মিলন চাকমার মৃত্যুর প্রতিবাদে ডাকা আধা বেলা সড়ক অবরোধ বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্যে শেষ হয়েছে। সোমবার ভোর ৬ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত খাগড়াছড়ির সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল।
এ দিকে, সড়ক অবরোধের সমর্থনে ভোর ৬ টার কিছুক্ষণ পরে জেলা সদরের নারায়ণ খাইয়া রেড স্কোয়ার মোড়ে সড়কের উপর টায়ার জ¦ালিয়ে পিকেটিং করা হয়। এ ছাড়া সকাল ১০ টার দিকে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুইমারার বাইল্যাছড়ি এলাকায় একটি থ্রী হুইলার অটো রিক্সায় আগুন ধরিয়ে দেয় পিকেটাররা। পরবর্তীতে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করে। লক্ষ্মীছড়ির সমুর পাড়ায় সকালে অবরোধের সমর্থনে পিকেটিং করার সময় পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি রিটন চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শুভধন চাকমাকে আটক করে কিছুক্ষণ পরে ছেড়ে দেয়া হয়। খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করেছে অবরোধ সমর্থকরা।
সড়ক অবরোধের প্রভাব ছিল খাগড়াছড়ি সদরের সাপ্তাহিক হাট বাজারে। অভ্যন্তরীণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় হাট বাজারে উৎপাদিত পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে আসতে পারেনি সাধারণ জনগণ।
অবরোধ চলাকালে খাগড়াছড়ি সদরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, জেলা শহরের শাপলা চত্বর, চেঙ্গী স্কোয়ার সহ আশপাশের সড়কে অটো রিক্সা ও মোটরসাইকেল সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল ছিল। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল সাজেকগামী পর্যটকবাহী পরিবহন ও জেলা সদরের সাথে উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ। খাগড়াছড়ি থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোন পরিবহন। এতে করে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকগামী পরিবহনের লাইনম্যান মো. আরিফ জানান, সাজেকগামী সকালের গাড়ি ছেড়ে যায়নি। নিরাপত্তার স্বার্থে শ্রমিকরা গাড়ি নিয়ে যায়নি। দুপুর ১২ টার পর অবরোধ শেষ হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আব্দুল আজিজ বলেন, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল দিচ্ছে। কয়েকটি স্থানে পিকেটিং করার চেষ্টা করা হলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গত মঙ্গলবার ইউপিডিএফের সশস্ত্র এক কর্মী মিলনকে অস্ত্র সহ আটকের কয়েক ঘন্টা পর তার মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র আইনে সহ একাধিক মামলা ও গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ছিল।
এ ঘটনাকে বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ড দাবি করে আসছে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ। এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ সহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনটি।