প্রকাশঃ ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ১০:৫১:৪৫
| আপডেটঃ ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:৪২:২০
সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে আয়োজিত এক ছাত্র সমাবেশে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অমল ত্রিপুরা বলেছেন ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের মানসম্মত শিক্ষা নেই, অবকাঠামো উন্নয়ন ঘটেনি, ছাত্রাবাস চালু নেই, পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব রয়েছে। তাই এ সকল দাবি আদায়সহ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’।
আজ রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২) সকাল ১১ টায় খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার বর্মাছড়ি ইউনিয়নের কুতুকছড়ি বাজার মাঠে পিসিপির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
“শপথ বাক্য পাঠের নামে উগ্রজাতীয়তাবাদী ভাবধারা প্রতিষ্ঠা চলবে না, ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়াও, কেবল ৫ ভাষা নয় সকল জাতিসত্তার মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষালাভের অধিকারসহ পিসিপি'র শিক্ষা সংক্রান্ত ৫ দফা বাস্তবায়ন কর” এই শ্লোগানে অনুষ্ঠিত ছাত্র সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি রুপান্তর চাকমার সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি রিটন চাকমা সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা সংগঠক সরল চাকমা, পিসিপি'র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অমল ত্রিপুরা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সাধারন সম্পাদক সুদেব চাকমা, জাতিসত্তা মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের সদস্য বিনোদ মুন্ডা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি পাইচি মারমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শাখার সদস্য সুপ্রভা চাকমা প্রমুখ।
সমাবেশে ইউপিডিএফ-এর সংগঠক সরল চাকমা বলেন, ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের পরিপুর্ণ বিকাশের জন্য প্রয়োজন হয় তার নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্যসহ রাজনৈতিক অধিকার। কিন্তু সরকার এদেশের নাগরিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে করে রেখেছে। সংবিধানে দেশের সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে নেই কোন গণতান্ত্রিত শাসন ব্যবস্থা। রাষ্ট্র কর্তৃক পাহাড়ি জনগণ প্রতিনিয়ত শোষণ, নিপীড়ন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, রাতের আঁধারে ঘরবাড়ি তল্লাশি করে হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি জুম্ম জনগণের ন্যায্য দাবি ‘পুর্ণস্বায়ত্তশাসন’ আদায়ের লক্ষ্যে ইউপিডিএফ-এর পতাকাতলে সমবেত হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
ছাত্র সমাবেশ শেষে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি কুদুকছড়ি বাজার মাঠ থেকে শুরু হয়ে কুতুকছড়ি বাজার প্রদক্ষিণ করে দশবল বৌদ্ধবিহার গেইটে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত করা হয়।