শুক্রবার | ২৯ নভেম্বর, ২০২৪
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের পরিদর্শন:

রামগড় সীমান্তের ফেনী নদীতে কূপ খনন করে সাব্রুম শহরের পানীয় চাহিদা মেটাতে চায় ভারত

প্রকাশঃ ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ০১:৪৩:২৯ | আপডেটঃ ২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:৩২:৩৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। রামগড় সীমান্তের ফেনী নদীতে (ইনটেক ওয়েল) কূপ খনন করে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি উত্তোলন করে সাব্রুম শহরের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে চায় ভারত।

শুক্রুবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১২ টার সময় খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর সংলগ্ন ও ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুম আন্তঃ সীমান্ত ফেনী নদী অংশ হতে প্রস্তাবিত ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি উত্তোলনের সম্ভাব্যতা পরিদর্শন করেছে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের প্রকৌশলীদল (জেআরসি)।
পরিদর্শন দলে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রকৌশলী মো: রমজান আলী প্রামানিক এর নেতৃত্ব ১৫ সদ্যসের প্রতিনিধিদল ও ভারতের ডিএম এন্ড কালেক্টর সাউথ ত্রিপুরা সাজু ওয়াহিদ এর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের অন্তত ৩০ জন সদস্য যৌথভাবে প্রকল্পটির সম্ভাব্যস্থান মৈত্রী সেতুর নিম্নাংশে ত্রিপুরার সাব্রুম ফেনী নদীর সীমান্ত স্থান ও পরে রামগড়ের মহামনী বিওপি সংলগ্ন ফেনী নদীর স্থান পরিদর্শন করে সাব্রুমে বৈঠক করে জেআরসি প্রতিনিধদল।

জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুম শহরের পানিয় জলের সংকট মেটাতে ফেনী নদী থেকে প্রস্তাবিত ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি উত্তোলনে ভারত সরকারকে ২০১২ সাল কিছু শর্তসাপেক্ষে সাব্রুম শহরে খাবার পানির সংকট মেটাতে লো-লিপট পাম্প স্থাপনের সিন্ধান্ত নেয়া হয় পরে ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষে সমঝোতা স্বারকে সই করে দুই দেশ।

ভারত সরকার ফেনী নদীর ৩৬টি অংশে বৈদ্যুতিক পাম্প মেশিন বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে আশির দশক থেকে অবৈধভাবে একতরফা পানি তুলে নিচ্ছে। ফেনী নদী থেকে একতরফা পানি উত্তোলনের ফলে শুস্ক মৌসমে পার্বত্যঅঞ্চলের মাটিরাঙা, রামগড় সহ মুহুরী প্রজেক্টে পানির স্তর নিচে নেমে যায় এতে চাষাবাদে বিঘ্ন ঘটে। তাই স্থানীয় বিশ্লেষকরা বলছেন, ফেনী নদীতে অবৈধ ৩৬টি পাম্প মেশিনে উত্তোলনকৃত পানির স্থায়ী সমাধান ছাড়া নতুন করে নদীতে কুপ খনক করে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি উত্তলন মোটেও মঙ্গলজনক নয়।

পরিদর্শন দলে অন্যান্যদের বাংলাদেশ দলে যৌথ নদী কমিশন সদস্য মোঃ মাহামুদুর রহমান, তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী চট্টগ্রাম পাওয়ার সার্কেল শিবেন্দু খাস্তগীর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া-১ অনুবিভাগ সুবর্ণা শামীম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় উপসচিব পরিকল্পনা-৬ এস এম সরোয়ার কামাল, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী জীবন কুমার বিশ্বাস, প্রকল্প পরিচালক ও সীমান্ত নদী তীর সংরক্ষন ও উন্নয়ন নব কুমার চৌধুরী, রামগড়  (৪৩ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আনোয়ারুল মাযহার, রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত এবং ভারতীয় প্রতিনিধি দলে চিফ ইঞ্জিনিয়ার পিডবি¬উডি ডাবলু আর গভট অফ ত্রিপুরা, ইঞ্জিনিয়ার মহিতোষ দাস,  কমান্ডিং অফিসার ৯৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ অধিনায়ক শ্রী নরেশ কুমার বাকফা সাউথ ত্রিপুরাসহ প্রমুখ পরিদর্শন করেন ।

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions