প্রকাশঃ ১৫ জুনe, ২০১৮ ১১:১৮:৩০
| আপডেটঃ ১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ০৫:৪৬:৪৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো। গত ঈদে প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে আশানুরূপ পর্যটক না আসায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলার পর্যটন সেক্টর। কিন্তু এবছর ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার অনেক আগ থেকে হোটেল মোটেল গুলো বুকিং হয়ে আছে। প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের পছন্দ এখন দেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের সবুজ বেষ্টিত পর্যটনকেন্দ্রগুলো। বিশে^র বৃহৎ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পরে অধিকাংশ দেশীয় ও বিদেশী পর্যটকের পছন্দের তালিকায় রাঙামাটির সাজেক ভ্যালী। সাজেক রাঙামাটি জেলায় হলেও সময় ও আর্থিক ব্যয় হ্রাসের সুবিধার্থে খাগড়াছড়ির দিয়ে যাতায়াত করেন পর্যটকরা। এতে করে খাগড়াছড়ির পর্যটন খাত আরও চাঙ্গা হচ্ছে। সাজেক ভ্রমণের ফাঁকে পর্যটকরা এখন খাগড়াছড়ির প্রাকৃতিক আলুটিলা গুহা, রিছাং ঝর্ণা, তৈদুছড়া, দুমনি ঘাট ঝর্ণা, জেলা পরিষদ পার্ক, তারেং হেলিপ্যাড, মায়াবিনী লেক ও জলপাহাড়ে সময় কাটান।
পর্যটকদের সুবিধার্থে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে বাড়ানো হয়েছে সুযোগ সুবিধা। বর্তমান জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলাম আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের পরিপূর্ণ সৌন্দর্য যেন পর্যটকদের উপভোগ করতে পারেন সে লক্ষ্যে নতুন ওয়াচ টাওয়ার, কিডস জোন, ওয়াশ ব্লক, ¯œ্যাকস কর্ণার, নামাযের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এছাড়া মায়াবিনী লেকে রয়েছে নৌকা ভ্রমণ ও কাইকিংয়ের ব্যবস্থা। এছাড়া সম্প্রতি সময়ে জেলা পরিষদ পার্কসহ অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রগুলো আধুনিকায়ন হয়েছে।
পরিবহন মালিক আব্দুল মান্নান বলেন, ঈদের ছুটিতে এবার রেকর্ড পরিমাণ পর্যটক আসবেন বলে মনে করি। সাজেকসহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে যেতে পর্যটকরা আগেভাগে গাড়ী বুকিং করে রাখছেন।
গাইরিং হোটেলের ব্যবস্থাপক মো: নয়ন বলেন, ঈদের আগের দিন থেকে পরবর্তী ৮ দিন পর্যন্ত হোটেলের অধিকাংশ রুম বুকিং আছে। গতবছর পাহাড় ধসের কারণে পর্যটকরা আসতে পারেনি। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পর্যটনখাতে আশানুরূপ ব্যবসা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলাম বলেন, প্রাকৃতিক উৎসসমূহ কাজে লাগিয়ে খাগড়াছড়িতে পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ চলছে। পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগের অন্যতম সময় বর্ষা। তাই ঈদের বন্ধে প্রকৃতিপ্রেমীদের খাগড়াছড়িতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।