প্রকাশঃ ০৩ জুনe, ২০২০ ০৫:৪৪:৩৯
| আপডেটঃ ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ০২:৫৩:১৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। পর্যটন জেলা বান্দরবান। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এই জেলায় রয়েছে অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র আর এই পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি এই জেলাতে গড়ে ওঠেছে অসংখ্য হোটেল মোটেল ও রির্সোট। প্রতিদিনই এই জেলার সৌন্দর্য্য উপভোগে দেশের নানান প্রান্তের ভ্রমনপিপাসুরা ছুটে যায়,কিন্তু করোনার সংক্রামকে দীর্ঘ দুমাসের ও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর প্রশাসনের অনুমতিক্রমে হোটেল মোটেল আর রিসোর্টগুলো আবার চালু হচ্ছে।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, ৩জুন (বুধবার ) সকাল থেকে বান্দরবানের সকল হোটেল মোটেল ও রির্সোট খোলা যাবে, কিন্তু কোন পর্যটক বা অতিথিকে হোটেলে রাখা যাবে না। শুধুমাত্র হোটেল মোটেল ও রির্সোট পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা, হাইজিন দিয়ে ওয়াশ করা, ডিজ ইনফেকশন নিশ্চিত করা এবং মেরামত ও সংস্কার কাজ পরিচালনা করা যাবে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা আরো জানান ,আগামী ৭২ ঘন্টা পরে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আবাসিক হোটেল মোটেল, রেস্ট হাউজ ও গেস্ট হাউজ গুলো সীমিত আকারে ব্যবসা কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো:শামীম হোসেন বলেন,আমরা আপাদত হোটেল মোটেল খুলে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার অনুমতি দিয়েছি মাত্র, সার্বিক পরিস্থিতি ভালো হলে হোটেল মোটেল চালু হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো:শামীম হোসেন আরো বলেন,আগামী ৭২ঘন্টা পরে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বান্দরবানের আবাসিক হোটেল মোটেল, রেস্ট হাউজ ও গেস্ট হাউজ গুলো সীমিত আকারে ব্যবসা কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পরে বান্দরবানের আবাসিক হোটেল মোটেল,রেস্ট হাউজ ও গেস্ট হাউজগুলো চালু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর হোটেল কর্তৃপক্ষ নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করেছে। হোটেল মোটোলের যাবতীয় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করার পাশাপাশি নতুন আঙ্গিকে পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুুত হচ্ছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
বান্দরবান সদরের হোটেল হিলভিউ আবাসিক এর একাউন্ট ম্যানেজার মো:তৌহিদ পারভেজ বলেন, করোনা সংক্রামক প্রতিরোধে গত১৮ মার্চ থেকে বান্দরবানের সকল আবাসিক হোটেল মোটেল ,গেষ্ট হাউস বন্ধ করে দেয় বান্দরবানের জেলা প্রশাসন। তিনি আরো বলেন, আবাসিক হোটেল মোটেল,গেষ্ট হাউস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা ব্যাঁপক ক্ষতির মুখে পড়েছি । দীর্ঘ ২মাস পর প্রশাসন আমাদের হোটেল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা, হাইজিন দিয়ে ওয়াশ করা, ডিজ ইনফেকশন নিশ্চিত করা এবং মেরামত ও সংস্কার কাজ পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়ায় আজ থেকে আমরা হোটেল পরিস্কারের কাজ শুরু করেছি।
হোটেল হিলভিউ এর ম্যানেজার দীপক কান্তি দে বলেন,আমরা হোটেল ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়ে গেলাম ,অনেকদিন হোটেল বন্ধ থাকায় আমাদের হোটেলে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল ,তারপরে ও যদি সহসাই প্রশাসন খোলার অনুমতি প্রদান করে তবেই আমরা পর্যটক পাব আশাকরি এবং এই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেবার আশা করছি।
বান্দরবান আবাসিক হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো:সিরাজুল ইসলাম বলেন, বান্দরবান জেলায় ৬০টি হোটেল মোটেল রয়েছে আর পর্যটকবাহী যান রয়েছে প্রায় ৪ শতাধিক আর এই পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত রয়েছে জেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ। করোনা সংক্রামক প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন থেকে হোটেল মোটেল আর রিসোর্টগুলো বন্ধ করে দেওয়ার দুই মাস পরে আবার খোলার অনুমতি আসছে জেনে মনে কিছুটা স্বস্তি এসেছে ,আশাকরি সামনের দিনগুলোতে বান্দরবানে পর্যটক আগমন ঘটবে এবং আমরা আবার ব্যবসা চালু করতে পারবো।
করোনা ভাইরাসের সংক্রামক প্রতিরোধে গত ১৮ মার্চ থেকে বান্দরবানের সকল হোটেল মোটেল ও রেস্ট হাউস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন, আর দীর্ঘ এই বন্ধে পর্যটকশুন্য হয়ে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।