শনিবার | ১৮ মে, ২০২৪

পানছড়িতে পরিষদ প্রাঙ্গণের গাছ কেটে আসবাবপত্র বানাচ্ছেন ইউএনও!

প্রকাশঃ ২৯ মে, ২০১৮ ০৮:৩২:৩৬ | আপডেটঃ ০৪ মে, ২০২৪ ০৯:৫৮:৩০
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর বিরুদ্ধে নিয়ম না মেনে পরিষদ প্রাঙ্গণের গাছ কেটে আসবাবপত্র বানানোর অভিযোগ উঠেছে। বিধি মোতাবেক সরকারি স্থাপনা কিংবা সামাজিক বনায়নের গাছ কাটার পূর্বে বনবিভাগের মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ ও নিলাম আহ্বানের নিয়ম থাকলেও পানছড়ি উপজেলার সর্বোচ্চ এই কর্মকর্তা তা অনুসরণ করেননি। পরিষদ প্রাঙ্গণের একাধিক স্থান থেকে বহু পুরাতন গাছ নিধন করে তা দিয়ে আসবাবপত্র বানাতে স’মিলে নিয়ে কাঠে পরিণত করা হয়েছে।
   
সরেজমিনে স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত এপ্রিল মাসে পানছড়ি উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন স্থানে সেগুন, মেহগুনী, কড়ই ও চাপালিশসহ নানা প্রজাতির ২০-২৫টি গাছ কাটা হয়েছে। যেগুলোর অধিকাংশের বয়স ২০-৩০ বছরের কাছাকাছি।   

প্রত্যক্ষদর্শী ভাগ্য মোহন ত্রিপুরা জানান, গত এপ্রিল মাসের শেষ দিকে তিনি উপজেলা কার্যালয়ে এসে পুরাতন সেগুন, কড়ই, চাপালিশ ও মেহগুনীসহ নানা প্রজাতির গাছ কাটতে দেখেন। আগে গাছগুলোর নিচে বসে সেবাপ্রার্থীরা বিশ্রাম নিতে পারত। দিন দিন পাহাড়ে গাছ কমছে তন্মধ্যে প্রশাসন যদি এভাবে করে তাহলে পরিবেশ খেকোরা আরো বেপরোয়া হবে।
পরিষদ এলাকার এক বাসিন্দা জানান, উপজেলার সর্বোচ্চ কর্তা ব্যক্তি যদি এভাবে নির্বিচারে গাছ কেটে পরিবেশের ক্ষতি করেন তাহলে সাধারণ জনগণ কার কাছে গিয়ে এসব বিষয়ে প্রতিকার পাবেন।

বনবিভাগ পানছড়ি রেঞ্জের রেঞ্জার মোশারফ হোসেন বলেন, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণের গাছগুলোর সরকারি সম্পত্তি। কোন কারণে যদি গাছ কাটতে হয় তাহলে বন বিভাগকে অবগত করে যথাযথ কারণ জানিয়ে গাছের বা কাঠের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। কিন্তু পানছড়ি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণের কোন গাছ কাটার জন্য বনবিভাগকে জানানো হয়েছে বলে আমার জানা নেই।
পানছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) আবুল হাশেম গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, পরিষদের প্রয়োজনে কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছে। এগুলো দিয়ে সেবাপ্রার্থীরে জন্য একটি গোলঘর নির্মাণ ও হলরুমের জন্য কিছু আসবাবপত্র বানানো হচ্ছে। এবিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা ও বনবিভাগের রেঞ্জারকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছিল।
পানছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা পাহাড়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে আত্মগোপনে থাকায় তার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
 
খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions