প্রকাশঃ ২৫ নভেম্বর, ২০১৯ ০৭:০২:২৯
| আপডেটঃ ১৪ মে, ২০২৪ ০৯:১৮:০৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি আওয়ামীলীগের কাউন্সিলকে ঘিরে পদ প্রার্থীদের হেয় করতে সামাজিক মাধ্যমে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর এর নামে একটি ভিডিও ছাড়া হয়, যাতে মুছা মাতব্বরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা হয়। বিষয়টি নিয়ে মুছা মাতব্বর কোতয়ালী থানায় মামলা করতে গেলে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ সেটি মামলা না নিয়ে জিডি আকারে নিয়ে মামলার নথি প্রেরণ করেন এবং আদালতের নিকট মামলার তদন্তের অনুমতি প্রার্থণা করেন।
আদালত নথি পর্যালোচনা করে দেখতে পান যে, কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ বাদীর অভিযোগে আমল যোগ্য অপরাধের উপাদান থাকা সত্বেও তাহা আমল অযোগ্য অপরাধ হিসেবে অত্র অভিযোগটি জিডি নং ১০৬২ মুলে এন্ট্রি করেন এবং জিডির বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতের কাছে তদন্তের অনুমতি প্রার্থণা করেন।
সার্বিক বিষয় বিবেচনায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো: আসিফ আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ইং তারিখে কোতয়ালী থাকার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহিদুল হক রনিকে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে বাদীর এজহারে আমল যোগ্য অপরাধের উপাদান থাকা সত্বেও কেন তাহা জিডি আকারে গ্রহণ করা হলো, তা লিখিতভাবে ব্যাখা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান এবং একই সাথে বাদী মুছা মাতব্বরকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত: গত ১৯ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে MD Saymon এবং JF Anwar chinu আইডি থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়, যাতে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বরকে ঘিরে আপত্তিকর কথা বার্তা বলতে শোনা যায়। এরপর মুছা মাতব্বর কোতয়ালী থানায় ২১/১১/২০১৯ইং তারিখ মামলা করেন যার নম্বর ১০৬২। কিন্তু কোতয়ালী থানা এটিকে শুধুমাত্র জিডি হিসেবে গ্রহণ করে আদালতে পাঠায়।