প্রকাশঃ ১৪ জানুয়ারী, ২০১৯ ০২:৫৮:০৮
| আপডেটঃ ১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ০৩:৪৬:২৮
কৌশিক দাশ, সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। শীতের আমেজ শুরু হতেই ভিড় বাড়ছে বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও আশা করছেন ভালো ব্যবসার। আর দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে সতর্ক প্রশাসন।
প্রকৃতি যেনো নিজ হাতে সাজিয়েছে বান্দরবানের পরিবেশ প্রতিবেশ। যেদিকে চোখ যায় শুধু পাহাড়, টিলা আর তারই মাঝে সবুজের মহাশান্ত সমাহার। মন ভরে এসব উপভোগ করতে শীত মৌসুমের শুরুতেই ভিড় করছেন পর্যটকরা। জেলার নীলাচল,মেঘলা,নীলগিরি,প্রান্তিক লেক,চিম্বুক,নীলগীরিসহ সবকটি পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের উপস্থিতিতে এক ধরনের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। সেই সাথে বিচিত্র গাছ-গাছালি আর বনের মধ্যে বন্যপ্রাণীর দেখার সৌভাগ্যের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অভিভুত পর্যটকরা।
চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানের মেঘলা ভ্রমনে আসা মো:জাফর বলেন,আমরা পরিবারের সব সদস্য নিয়ে মেঘলা ঘুরতে আসলাম। প্রতিবছরই বান্দরবান বেড়াতে আসি। বান্দরবান আমাদের খুবই ভালো লাগে।
ঢাকা থেকে বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্র নীলাচলে বেড়াতে আসা পর্যটক মো:শহীদ জানান,আমার বান্দরবান খুবই পছন্দীয় একটি পর্যটনস্পট। ঈদ ,পূজা বা যেকোন বন্ধ পেলেই আমিই এখানে ছুটে চলে আসি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর মাসে বান্দরবান ঘুরতে আসতে পারিনি,তাই জানুয়ারী মাসেই চলে এলাম। পর্যটক মো:শহীদ আরো বলেন,বান্দরবান আসতে কোন সময়ের প্রয়োজন হয় না। বছরের সব সময় বান্দরবানের প্রাকৃকিত সৌর্ন্দয পর্যটকদের বিমোহিত করে। এই জেলার নদী,পাহাড়,বন-বনানী আর বন্য পশু পাখীর কলকলানিতে পর্যটকদের মন ভরে যায়।
এদিকে প্রতিবছরের মত এবারে ও শীত মৌসুমে পর্যটদের আরো ভালো সেবা প্রদান ও বেশি পর্যটক জেলায় আগমন ঘটবে এবং ব্যবসা ভালো হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছে পর্যটন সংশিষ্টরা। বান্দরবানের মেঘলায় অবস্থিত হলিডে ইন রির্সোট এর সত্বাধিকার মো:জাকির বলেন,বান্দরবানের পর্যটকদের অবকাশ যাপনের জন্য দিন দিন বিভিন্ন হোটেল মোটেল তৈরি হচ্ছে। পর্যটকদের আরো বেশি সেবা প্রদানের লক্ষে এই পার্বত্য জেলায় বিভিন্ন পর্যটন মোটেল,রির্সোট ও আদিবাসীদের তৈরি বিভিন্ন মাচা ঘর নির্মাণ হচ্ছে। পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে এই জেলার ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত আন্তরিক।
বান্দরবান হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ বলেন,আমরা বান্দরবানের প্রতিটি হোটেল মোটেলকে প্রায় সময় সুন্দর করে সাজিয়ে রাখি,যাতে পর্যটকদের কোন কষ্ট না হয়। এই জেলার হোটেল ও মোটেলগুলো খুব ভালো মানের ও দামে ও সাশ্রয়। আমরা চায় সারা বছরই পর্যটকেরা বান্দরবান আসুক আর আমাদের সেবা গ্রহণ করুক।
এদিকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুুত রয়েছে প্রশাসন। বান্দরবান টুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুহৃদ চাকমা জানান, বান্দরবানে প্রতিদিনই অসংখ্য পর্যটকের বিচরণ ঘটে। কিছু পর্যটক সারাদিন বান্দরবান ভ্রমন করে আবার নিজ গন্তব্যে চলে যায়,আর কিছু পর্যটক বান্দরবানে দুই তিন দিন অবস্থান করে ও বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমন করে। আমরা টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সর্বত্র কাজ করে যাচ্ছি। মেঘলা ,নীলাচল,স্বর্ণমন্দিরসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে আমাদের টহল টিম দায়িত্বে থাকে যাতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয়।
বৈচিত্র্যময় পাহাড়, টিলা আর ঝর্নার সমাহার মিলিয়ে অর্ধ শতাধিক পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে এই জেলায়, আর প্র্রতি বছর প্রায় ২ লাখ পর্যটকের সমাগম হয় এই বান্দরবানে।